বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোড মার্চ আজ মঙ্গলবার। সকাল ১০টায় ঝিনাইদহ থেকে রোড মার্চ শুরু হবে। মাগুরা, যশোর জেলার ১৬০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে শেষ হবে খুলনা নগরীর জিয়া হল চত্বরে। সেখানেই সমাপনী সমাবেশ হবে। এই সমাবেশকে ঘিরে অতীতের সবচেয়ে বড় জমায়েতের রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোড মার্চ ঘোষণার পর থেকে সফলতার সঙ্গে কর্মসূচি পালন নিয়ে সংশয়ে ছিলেন তারা। বিশেষ করে, জিয়া হল চত্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমাবেশের অনুমতি, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিপুল সংখ্যক গাড়ি নিরাপদে পার্কিংয়ে স্থান নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো বাধায় পড়তে হয়নি বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বিএনপি নেতারা।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, অতীতে সমাবেশের কর্মসূচি দিলেই ধরপাকড় শুরু হতো। এখন পর্যন্ত কাউকে আটকের অভিযোগ আমরা পাইনি। এটা স্বস্তির। তবে বিভিন্ন জেলায় রোড মার্চের গাড়িবহরে হামলা হওয়ায় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোড মার্চ কর্মসূচিকে উৎসবমুখর এবং জনসম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নগরীর প্রবেশপথে ২০০টি তোরণ নির্মাণ, সড়কে আলোকসজ্জা ছাড়াও সড়ক এবং সড়কদ্বীপে ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। গত কয়েকদিন নগরীতে লিফলেট বিতরণের কাজ চলছে। তার দাবি, খুলনায় রোড মার্চের সমাপনী সমাবেশে পাঁচ লাখ লোক জমায়েত হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল জানান, সকাল ১০টায় ঝিনাইদহে রোড মার্চের উদ্বোধন করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মাগুরা ও যশোর হয়ে রোড মার্চ খুলনায় পৌঁছাবে বিকেলে। পথে চারটি পথ সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। রোড মার্চের সমাপনী সমাবেশ খুলনার শিববাড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার নেতাকর্মীরা যোগ দিবেন। সমাবেশ শেষে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল হয়ে সবাই নিজ নিজ জেলায় ফিরে যাবেন।
খুলনা গেজেট/এইচ