রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় সমাবেশ চলাকালীন ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের এক নেতা বলেন, ‘ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নাসির ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন নাসিরের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে উভয়ের সমর্থকরা এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আবুল কালাম আজাদ নাসির ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে নাসির উদ্দিন নাসির বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রকিবের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নির্ধারিত বক্তব্য থামিয়ে সংঘাতকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যারা সংঘাত করছে তারা সরকারের দালাল। তারা বিএনপি বা ছাত্রদলের বন্ধু নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাত্রদলের এক পক্ষের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। অপর পক্ষও পাল্টা হামলা চালায়। সংঘর্ষ থামাতে ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সমর্থক ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রদল নেতা জুয়েল রাজসহ ১০ জন আহত হন।
খুলনা গেজেট/কেডি