এই প্রথম ডিম, আলু ও পিয়াজেরমত কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করে সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে কত অসহায় তা প্রকাশ পেল। খাদ্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে জনগণের দাবির মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ‘ক্রাইসিসে’ পড়তে হবে। মন্ত্রীর এ ধরনের বকএব্য বলে দিচ্ছে সরকার থেকে ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী। যখন প্রধানমন্ত্রী সংসদে খাদ্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে বলে বক্তব্য দিচ্ছেন, তখন বাণিজ্যমন্ত্রীর এ ধরনের পদক্ষেপ হাস্যকর।
এভাবেই বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, খুলনা মহানগর সভায় নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন। নেতৃবৃন্দ এ সময় সকল খাদ্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে আনতে সকলের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবী করেন। সভায় অপর এক প্রস্তাবে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বন্ধ ঘোষিত পাটকলগুলো রাষ্ট্রীয় মালিককানায় পুনরায় চালু করে খুলনার হারানো শিল্পাঞ্চলে ফিরিয়ে আনার আহ্বান করেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা মহানগর কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলামের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি কমরেড দিপংকর সাহা দিপু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ উল ইসলাম, সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল সরদার, কুষ্ণ কান্তি ঘোষ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/কেডি