অভিষিক্ত তানজদিম সাকিবের হাতে প্রথম ওভারেই বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল হাতে সাকিবের শুরুটা হল ওয়াইড দিয়ে। তবে ফিরতে খব বেশি সময় নেওনি। ওভারের দ্বিতীয় বৈধ ডেলীভারীতেই উইকেটের দেখা পেলেন। রোহিত শর্মা কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন। ভারত অধিনায়ককে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের খাতা খুলেছেন তানজিম সাকিব। নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসে বোল্ড আউট করে তিলাক ভার্মাকে ফেরান তানজিম সাকিব।
এর আগে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দেখা হয়েছিল দুজনের। সর্বশেষ দেখায় তিলককে আউট করেছিলেন তানজিম। সেবারও তিনেই নেমেছিলেন তিলক। আজ দুজনেরই সিনিয়র পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক একই ম্যাচে। এরপর একে অন্যের মুখোমুখি। এখানেও জয়ী তানজিমই! ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তানজিমের বলে আউট তিলক। আর ২০২৩ সালে এশিয়া কাপে এসে সেই তানজিমের বলে আউট হলেন তিলক।
তিলক বর্মা বলটি বেরিয়ে যাবেন বলে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আগেরটিতেও তাই করেছিলেন। কিন্তু এবার তানজিমের বলটি ঢুকেছে ভেতরের দিকে। আঘাত করেছে অফ স্টাম্পের চূড়ায়।
শুরুর ধাক্কা সামলে শেষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। আর এই সংগ্রহে অবদান রেখেছেন সাকিব, হৃদয় ও নাসুম, তানজিম সাকিব ও মাহেদি। তাদের ব্যাটিং নৈপূণ্যে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ১৭ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু আভাস দেন একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম। তবে ভারতীয় পেসারদের সামনে ধুঁকতে থাকেন টাইগার ব্যাটাররা। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। দলীয় ১৫ রানে ১২ বলে ১৩ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হন তামিম।
এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে শুরু ধাক্কা সামাল দেওয়া চেষ্টা করেন একাদশে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয়। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই ব্যাটার। দলীয় ২৮ রানে ১১ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান বিজয়। এরপর ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাকিব আল হাসান।
তবে দুইবার জীবন পেয়েও ব্যর্থ হন মিরাজ। দলীয় ৫৯ রানে ২৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সালাম দেন সাকিব। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন টাইগার অধিনায়ক। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন সাকিব।
সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন সাকিব। তবে দলীয় ১৬০ রানে ৮৫ বলে ৮০ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান শামিম পাটোয়ারি। এরপর ক্রিজে আসা নাসুমকে সঙ্গে ব্যাট করতে থাকেন হৃদয়।
সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটার। তবে ফিফটির পর পরই আউট হন হৃদয়। দলীয় ১৯৩ রানে ৮১ বলে ৫৪ রান করে ফিরে যান তিনি। হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা শেখ মেহেদি হাসানকে সঙ্গে ব্যাট করতে থাকেন নাসুম আহমেদ। তবে দলীয় ২৩৮ রানে ৪৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন নাসুম।
খুলনা গেজেট/এমএম