বাগেরহাটের কচুয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপি সদস্য সঞ্জিব সাহাসহ উভয় পক্ষের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে কচুয়া বাজারে এবং রাতে বারুইখালী চৌরাস্তার মোড় এলাকায় কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হাওলাদার ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য সঞ্জীব সাহা এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ইউপি সদস্য সঞ্জীব সাহা (৪৬) ও তার সহযোগী শংকর সাহা (৫৫) এবং ইউপি সদস্য জাকির হাওলাদারের আপন বড় ভাই ভ্যানচালক শহর হাওলাদার (৬০)। এদের মধ্যে ভ্যান চালক শহর হাওলাদার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্য ইউপি সদস্য সঞ্জিব সাহা ও শংকর সাহা খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় কচুয়া থানা পুলিশ ইউপি সদস্য জাকির হাওলাদারের সমর্থক রিপন ও লিয়াকতকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
ইউপি সদস্য জাকির হাওলাদার বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমার বড়ভাই ভ্যানচালক শহর হাওলাদার (৬০) কচুয়া বাজারে যায়। এসময়, ইউপি সদস্য সঞ্জীব সাহা ও তার সহযোগীরা মিলে আমার ভাইকে বিনা অপরাধে মারধর করে, হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় আমার ভাইকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। রাত ৯টার দিকে সঞ্জীব সাহা ও তার সহযোগী শংকর সাহা বারুইখালী চৌরাস্তার মোড়ে এসে আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। তখন এলাকাবাসী ও আমার স্বজনরা তাদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তাদের সাথে এলাকাবাসী ও আমার স্বজনদের সাথে সঞ্জিব সাহা এবং তার সহযোগীর সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে সঞ্জিব ও শংকর কিছুটা আহত হয়। আমার বড় ভাইকে মারার বিচার না করে পুলিশ, দুইজনকে ধরে নিয়ে গেছে। অন্যায়ভাবে আমার ভ্যানচালক ভাইকে মারধরের বিচার চাই।
সঞ্জিব সাহা ও শংকর সাহা দুইজনই গুরুত্বর অসুস্থ্য কথা বলার পরিস্থিতিতে নাই বলে জানিয়েছেন সঞ্জিব সাহার ভাগ্নে পার্থ কুমার সাহা। তিনি বলেন, ইউপি সদস্য জাকির হাওলাদারের ভাই শহর হাওলাদারকে আমার মামা সঞ্জিব সাহা মারেনি। কে বা কারা মেরেছে আমরা জানি না। কিন্তু ভাইকে মারার ক্ষোভে ইউপি সদস্য জাকির এবং তার লোকজন সঞ্জিব সাহা ও শংকর সাহাকে বেধরক মারপিট করেছে। এতে আমার মামার ডান হাত ও ডান পা ভেঙ্গে গেছে। শংকর সাহাও গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ বলে দাবি করেন পার্থ কুমার সাহা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ইউপি সদস্য জাকিরের সমর্থক দুইজনকে ৫৪ ধারায় আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল