খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন আইভি রহমান। আইভি রহমান তাঁর জীবনব্যাপী রাজনীতি ও সমাজসেবার মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের, বিশেষ করে পশ্চাৎপদ নারীসমাজের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন নারীসমাজকে পূর্ণ সামাজিক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে। নারী হলেও তাঁর সমসাময়িক প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ছিলেন পুরোভাগে। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তাঁর শ্রবণইন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। গুরুতর আহত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমান। যিনি ছিলেন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনী। বিএনপি জোট সরকারের জিঘাংসার শিকার হয়ে পরিণত বয়সের আগেই তাকে চলে যেতে হয়। ২১ আগস্ট হামলার পর আরও তিন দিন জীবিত ছিলেন আইভি রহমান। আজ ১৯ বছর পরে এসেও আইভি রহমানের এই মৃত্যুর ঘটনা অনেকেরই অজানা থেকে গেছে। তিন দিনের মাথায় ২৪ আগস্ট ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইভি রহমান মৃত্যুবরণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে সাবেক রাষ্টপতি জিল্লুর রহমানে সহধর্মীনি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, এডভোকেট রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বি,এম,এ সালাম, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, এডভোকেট ফরিদ আহমেদ, সরদার আবু সালেহ, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, হালিমা ইসলাম, মোল্লা মোজাফফর হোসেন, মোঃ খায়রুল আলম, পাপিয়া সরোয়ার শিউলি, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, জামিল খান, আজগর বিশ্বাস তারা, অমিয় অধিকারী,শাহিনা আক্তার লিপি, মানিকুজ্জামান অশোক, শেখ মোঃ আবু হানিফ, আজিজুর রহমান রাসেল, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, হাজী সাইফুল খান, আহমেদ ফিরোজ ইব্রাহিম তন্ময়, সরদার জাকির হোসেন, অজিত বিশ্বাস, জলিল তালুকদার, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, মোঃ ইমরান হোসেন, এডভোকেট তিতাস, তালিউর রহমান সানি, আল আমিন, তানভীর রহমান আকাশ, চিশতি নাজমুল বাসার সম্রাট, আব্দুর রহমান, রাকিব মাহমুদ ,মোঃ রাসেল,পলাশ রায়, সাইফুল ইসলাম সাইফ, হিরন শিকদার প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি