রোববার (২০ আগস্ট) সিডিনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে স্পেন। ফাইনালের মঞ্চে একমাত্র গোলটি করেছেন ওলগা কারমনা।
সিডনির দর্শকভর্তি স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াইয়ের শুরুটা ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। দুদলই নিজেদের মেলে ধরেছে শুরু থেকেই। তবে বল দখল এবং আক্রমণে কিছুটা এগিয়ে ছিল স্পেন। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে প্রথমার্ধের খেলা ছিল বেশ উপভোগ্য। দুদলই বেশকিছু সুযোগ হারিয়েছে শুরুর দিকে।
১৫ তম মিনিটে ইংল্যান্ডের লরেন হ্যাম্পের শট ফেরে বারে লেগে। ১৮ তম মিনিটে পারাল্লুয়েলার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস। ২২ তম মিনিটে স্পেনের আরও একটি ভালো আক্রমণ ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক।
ম্যাচের ২৯ তম মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দেন ওলগা কারমনা। এরপর বেশকিছু বিপজ্জনক আক্রমণ করেও সমতা ফেরাতে পারেনি ইংলিশরা। উল্টো বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় স্পেন। তবে স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের শট গোলবারে লাগলে সে সুযোগ হারায় স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। লরেন জেমস আর ক্লোয়ি কেলিকে মাঠে নামান কোচ ওয়েগম্যান। যদিও অতি আক্রমণাত্মক মানসিকতার সুফল তারা পায়নি। খেলার ধারার বিপরীতে দুইবার বড় সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। দুইবারই তাদের গোলবঞ্চিত করেছেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়ে যেতে পারতো ম্যাচের ৭০ মিনিটেই। তবে এবারও তাদের ত্রাণকর্তা ইয়ার্পস। ইংলিশ ডিফেন্ডার ওয়ালশের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পয়ে গিয়েছিল স্পেন। তবে হার্মেসোর নেয়া স্পটকিক দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়েছন ইয়ার্পস।
ম্যাচের শেষদিকে গোলের জন্য একদম মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। তবে স্পেনের জমাট রক্ষণের সামনে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ওয়েগম্যানের দল। উল্টো অতিরিক্ত সময়ে স্পেন কয়েকবার প্রতি আক্রমণে ভীতি ছড়িয়েছে ইংলিশ শিবিরে।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পরপর আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে স্প্যানিশ নারীরা। ২০১৫ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা দলটা মাত্র ৮ বছরে জিতল বিশ্ব আসরের শিরোপা।
খুলনা গেজেট/ টিএ