চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় যে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল হচ্ছে, সেখানে অনেক অবকাঠামো নির্মাণের কাজ রয়েছে। দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এসব কাজ করার জন্য চীনা কোম্পানি চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) ঠিক করেছে সরকার। জি-টু-জি তথা সরকার থেকে সরকার পর্যায়ের উদ্যোগে ৭৮৪ একর জমির ওপর এই অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিন উল আহসান।
২০১৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দেশটির সরকার চট্টগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনে আগ্রহ দেখায়। এ নিয়ে তখন উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। এরপর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঢাকা সফরে এলে অর্থনৈতিক অঞ্চলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
শিল্পাঞ্চলটির অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করার কথা ছিল চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের। কিন্তু বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে চায়না হারবারের চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি, যে কারণে এই শিল্পাঞ্চলের কাজ এগোয়নি। এ রকম অবস্থায় ২০২২ সালের আগস্টে শিল্পাঞ্চলটি স্থাপনে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের (সিআরবিসি) সঙ্গে চুক্তি করে বেজা।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল থেকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ শিল্পাঞ্চলে ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, রাসায়নিক পণ্য, স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, প্লাস্টিক পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্নেস, সিমেন্টসহ পৌনে চার শ কারখানা করার সুযোগ থাকবে।
খুলনা গেজেট/এইচ