তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। রায়ের পরেই গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। তবে, গ্রেপ্তারের বিষয়টি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন এই পিটিআই নেতা। সেজন্য সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা রেখে গেছেন তিনি, যা তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার (৫ আগস্ট) প্রকাশ পায়। খবর এএফপির।
ওই ভিডিও বার্তায় সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে ইমরান খান বলেন, ‘আমার গ্রেপ্তার প্রত্যাশিত। এ জন্যই আমি আগে থেকে ভিডিওটি রেকর্ড করে রাখলাম। এই ভিডিও যখন আপনাদের কাছে পৌঁছাবে তখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে ও আমি জেলে থাকব। লন্ডনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে, আমার সঙ্গে এমনটা করা হচ্ছে। আমি চাই, আমার পার্টির কর্মীরা শান্ত, দৃঢ় ও অবিচল থাকুক।’
দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ পাকিস্তানি রুপি অর্থদণ্ড দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে (তোশাখানা) জমা না দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। রায়ের পর ইমরান খানকে তার লাহোরের বাসভবন জামান পার্ক থেকে পাঞ্জাব পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করেছে।
নির্বাচনী আইনের ১৭৪ ধারায় পিটিআই প্রধানকে তিন বছরের জন্য কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার। তিনি বলেন, ‘ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে ইসিপিতে (তোশাখানা উপহারের) জাল বিবরণ জমা দিয়েছেন এবং দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল