খুলনায় তিনদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগীর দাম বেড়েছে। বেড়েছে মাছের দাম। নতুন করে মুরগী ও মাছের দাম বৃদ্ধিতে হতাশার মধ্যে পড়েছেন নগরীতে বসবাস করা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা। দাম বৃদ্ধির জন্য বরাবর ক্রেতারা মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীদের দুষছেন। অপরদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাইকাররা দাম বাড়ালে তাদের কিছু করার থাকেনা।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার ও সোনালী মুরগী প্রতিকেজি যথাক্রমে ১৭০ টাকা ও ২৮০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ গত তিনদিন আগে একই মুরগী ব্রয়লার ১৫০ ও সোনালী ২৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন মুরগীর সংকট থাকায় প্রতিকেজিতে এ পরিমান দাম বেড়েছে। অপরদিকে ইলিশের ভরা মৌসুমে বাজারে সরবাহ কম থাকায় তার দামও আকাশচুম্বী। ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বেচছেন ব্যবসায়ীর ১৮০০ টাকা থেকে ১৯০০ টাকায়। আর ৫০০ গ্রাম সাইজের মাছ বিক্রি করছেন ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়।
রূপসা কাঁচাবাজারের মুরগী বিক্রেতা মো. বায়জিদ খুলনা গেজেটকে বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদা বাড়ায় ব্রয়লার ও সোনালি দুটির দামই বেড়ে গেছে। সোনালি প্রতি কেজি ২৮০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৭০ টাকায় বিক্রি করছি।’
ওই বাজারে মুরগি কিনতে আসা আফরোজা আক্তার বলেন, ‘মধ্যবিত্ত পরিবারের চাকরিজীবীর সীমিত আয়, কিন্তু বাজারে পণ্যের দাম স্থির থাকছে না। একজনের আয় দিয়েই পরিবারের খরচ ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ সব চালাতে হয়। খুব হিসাব করে চলছি, এর পরও এখন আর সব কিছু ঠিকমতো সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।’
ইলিশের সরবরাহ কম, দাম বাড়তি
ভরা মৌসুমেও বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। দামও বেশ চড়া। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ১৮০০ থেকে এক হাজার ১৯০০ টাকায়। ৫০০ গ্রামের ইলিশের কেজি এক হাজার ৯০০ থেকে এক ১০০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতাদের ভাষ্য, বাজারে চাহিদার তুলনায় ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছে না।