বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ মড়েল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পানগুছি নদীর জোয়ারের পানি। সামান্য বৃষ্টি হলেও পানি জমে যায় গোটা শ্রেণিকক্ষসহ অফিস কক্ষে। সেপটিক ট্যাংকের নোংরা পানিতেও সয়লাভ হয় অফিসকক্ষ। জোয়ারের পানির সাথে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ে সাপ, ব্যাঙ, কেঁচো, জোঁকসহ নানা ধরণের উভচর প্রাণী। এসব দেখে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় সময় কাটে শিশু শিক্ষার্থীদের। ব্যহত হয় স্বাভাবিক পাঠদান।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৩০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধে এটি মডেল স্কুল হলেও এর পারিপার্শ্বিক ও অবকাঠামোগত অবস্থা বহু বছর ধরেই নাজুক। এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০০। শিক্ষক ১৭ জন।
টিনশেড ঘরে নেওয়া হয় প্রাক প্রাথমিক, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ক্লাস।
বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে ৪র্থ শ্রণির কক্ষে সাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে কক্ষ ছেড়ে পালায় শিক্ষার্থীরা। ব্যাঙ, কেচো, জোক, চ্যালাসহ নানা ধরণের ভয়ংকর ও বিষাক্ত প্রাণী জোয়ারের পানির সাথে প্রবেশ করে শ্রেণিকক্ষগুলোতে । ড্রেনের ময়লা, আবর্জনা ও সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত পানিও প্রবেশ করে বিদ্যালয়ের বারান্দা, অফিস ও শিশুদের শ্রেণিক্ষগুলোতে।
এ বিষয়ে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, ভবন না থাকায় বর্ষা মৌসুমে এখানে পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ থাকেনা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতও অনেক কমে যায়। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টির সমস্যা সমাধানের জন্য ভবন নির্মাণ জরুরি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি