আবার এশিয়ার দেশগুলোর জন্য তেলের দাম বাড়াতে পারে সৌদি আরব। জ্বালানি পণ্যটির উৎপাদন আরও কমাতে পারে তারা। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ কমবে। ফলে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, আগামী সেপ্টেম্বরে সরবরাহের জন্য আরব লাইট ক্রুডের দর চলতি আগস্টের চেয়ে ৪৫ সেন্ট বেশি বাড়াতে পারে সৌদি আরামকো। তাতে প্রতি ব্যারেলের মূল্য পড়বে ৩ ডলার ৬৫ সেন্ট। এ বছর যা সর্বোচ্চ।
সৌদি আরব জানিয়েছে, জুলাই ও আগস্টে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে তারা। উৎপাদনকারী দেশগুলো এবং তাদের মিত্রদের জোট ওপেক প্লাসও ২০২৪ সালে সরবরাহ সীমিত রাখার কথা বলেছে। জ্বালানি পণ্যটির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী রাখতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ৪ আগস্ট বৈঠকে বসবে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানি মন্ত্রীরা। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে তেলের উত্তোলন হ্রাসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে তারা।
ইতোমধ্যে উৎপাদন কমিয়েছে উৎপাদনকারী দেশগুলো। এতে গত জুনের শেষ থেকে জ্বালানি পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বগামী রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচিত সময়ে এক্সট্রা লাইটের চেয়ে মিডিয়াম ও হেভি গ্রেডের দাম বেশি বাড়াতে পারে সৌদি। কারণ, লাইট ক্রুডের সরবরাহ বাড়তি আছে। এমনটি হলে টানা ৩ মাস তেলের দাম বাড়াবে তারা।
এ বিষয়ে সৌদি আরামকোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিকরা। তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম