ফুলতলায় কিশোর ভ্যান চালক মারুফ খাঁন (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামী আরাফাত হোসেন সরদার ওরফে সুজা (২১) নামে এক যুবককে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ধোপাখোলার মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও রক্তমাখা গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে ফুলতলার ছাতিয়ানী এলাকা থেকে আরাফাত হোসেন সরদার ওরফে সুজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে ডাউকোনা গ্রামের দবির সরদারের পুত্র। জিজ্ঞাসাবাদে সে মারুফ হত্যার বর্ণনা দেয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ধোপাখোলার মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও রক্তমাখা গেঞ্জি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্যঃ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জামিরার পিপরাইল গ্রামে আব্দুল লতিফ বিশ^াসের বিল ডাকাতিয়াস্থ মৎষ্য ঘেরের পাড় থেকে কিশোর ভ্যান চালক মারুফ খানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর ও দাফন সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে নিহতের চাচা জামির আলী খান বাদি হয়ে ফুলতলা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা (নং-২৩) করেন। ঘটনায় জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি