খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

দু’টি শর্তে দুই জাতের পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বেঙ্গালুরু রোজ ও কৃষ্ণপুরাম-এই দুই জাতের পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে রপ্তানিতে দু’টি শর্ত দেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-পিয়াজ আমদানি করা যাবে প্রতি জাতের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টন এবং জাহাজীকরণ হবে কেবল ভারতের চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।

গত ৯ অক্টোবর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার এক আদেশে পিয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে এই আদেশ জারি করা হয়। এর আগে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর এই প্রথম দুই জাতের পিয়াজ রপ্তানির অনুমোদন করল।

এমন শর্তের কারণে এই কায়দায় শেষ পর্যন্ত ভারতীয় পিয়াজ বাংলাদেশে আসবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ ভারত থেকে বাংলাদেশে সবধরনের পিয়াজ আমদানি হয় মূলত স্থলবন্দর দিয়ে; সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এ দেশে পিয়াজ আমদানির রেকর্ড নেই।

অন্যদিকে, ভারতের সেই পিয়াজ এলে বিকল্প দেশ থেকে পিয়াজ আনা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

এ বিষয়ে পিয়াজ আমদানিকারক ওকেএম ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসিয়র রহমান জানান, ‘আমি মিয়ানমার থেকে পিয়াজ এনেছি; পাকিস্তান থেকেও আসার পথে রয়েছে। ভারতের এই খবরে আমি আমদানি অনুমতি নিলেও এখন আর ঋণপত্র খুলব না।’

তিনি মনে করছেন, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভারতের প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু এর ফলে দুই জাতের পিয়াজ রপ্তানির খবর বাংলাদেশের আমদানিকারকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে নিশ্চিত। তাই সরকার চাইলে একটি পদক্ষেপ নিতে পারে। সেটি হচ্ছে কত দিন পর্যন্ত ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে তার একটি ঘোষণা দেওয়া। তাহলে আমদানিকারকরা নিশ্চিন্তে তত দিন পর্যন্ত অন্য দেশ থেকে পিয়াজ আনবেন।

গত ৯ অক্টোবর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার এক আদেশে বলা হয়, বেঙ্গালুরু জাতের পিয়াজ ১০ হাজার টন এবং কৃষ্ণাপুরাম জাতের পিয়াজ ১০ হাজার টন রপ্তানির সুযোগ দেয়া হয়েছে। ৯ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে এই পিয়াজ রপ্তানি সম্পন্ন করতে হবে। সব পিয়াজ জাহাজীকরণ হতে হবে ভারতের চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে।

এদিকে ভারতের বদলে বিকল্প ১৩ দেশ থেকে সাড়ে সাত লাখ টন পিয়াজ আমদানি করতে সরকার থেকে অনুমতি নিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশে পৌঁছেছে দুই হাজার টনের মতো। বাকি পিয়াজ ধারাবাহিকভাবে আমদানি নিশ্চিত করতে না পারলে সংকট প্রকট হবে।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!