নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর সমাবেশস্থল। ইতোমধ্যে পুরো সাড়ক কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিলে জড়ো হতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মঞ্চ থেকে জাসাসের উদ্যোগে গান পরিবেশন করা হচ্ছে। গান পরিবেশন ও প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করা হচ্ছে।
এখন যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে থেকে আসা নেতাকর্মী।
ময়মনসিংহ থেকে আসা বিএনপি কর্মী মো. আরিফ বলেন, গতকাল রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আসতে কষ্ট হলেও মহাসমাবেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। গতকাল রাতেই বের হয়ে এসেছি, সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরব না।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারহান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৫ বছর ধরে নির্যাতিত হচ্ছি। জনগণকে মুক্তি দিতে, জনগণের গণঅধিকার, ভোটের দাবি নিয়ে রাস্তায় এসেছি। আমাদের এক দফা, এক দাবি; শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ ঘটিয়ে বাড়ি ফিরবো। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ করছি, প্রয়োজনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি দেন। আমরা রাস্তায় থাকব।
শেরপুর জেলা যুবদল নেতা সাজ্জাদুল আলম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এই দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।
চাঁদপুর থেকে আসা বিএনপি কর্মী মো. জয়নাল খান বলেন, সরকার স্বৈরাচারের রূপ ধারণ করেছে, এই সরকার আর জনগণের সরকার নয়। শুধু বিএনপি কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগের পূর্বে ঘরে ফিরে যাব না।
বেশিরভাগ নেতাকর্মীই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। সমাবেশে অংশ নেওয়া বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির জমাদার বলেন, তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডাকে দুইদিন আগেই ঢাকা এসেছেন।
তিনি বলেন, এ আন্দোলন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। আমরা সকাল ৭টায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে এখানে এসেছি।
বরিশাল জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ খান, শোলক ইউনিয়ন যুবদলের সোহাগ ফকির, সজিব মোল্লাও এসেছেন মহাসমাবেশে। তারা জানান, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এসেছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম