আবারও ফিফার কাঠ গড়ায় দেশের ফুটবল। আর্থিক অনিয়মে দ্বিতীয় দফায় বিশ্বফুটবলের অভিভাবক সংস্থার নজরদারিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের চার কর্মকর্তা। যাদের তিনজন অব্যহতি পেয়েছেন আগের অভিযোগর ভিত্তিতে।
প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফ যেখানে নতুন মুখ। সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের।
এই বিষয়ে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘তুমি যেমন শুনেছো আমিও তেমন শুনেছি। আমার কাছে ডাইরেক্ট কোনো চিঠি আসেনি।’ প্রথমবারের মত এবারও ব্যক্তিগতভাবে সাবেক ও বর্তমান চার কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে ফিফা।
সাবেক হয়ে যাওয়া সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, অর্থ প্রধান আবু হোসেনের নাম এবারও জড়িয়ে। আরেক সাবেক অপারেসন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানের সঙ্গে প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফ নতুন মুখ।
সবার বিরুদ্ধেই অভিযোগ ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়মের। যার মূলে একটি ঘাস কাটার মেশিন। ২০২২ সালে যখন ঘাস কাটার মেশিন কেনা হয় তখন তদন্ত চলছিলো ফেডারেশনের অনান্য অনিয়মের। তাতেও সতর্ক হয়নি সেই কর্তারা। ফিফার নির্দেশে ক্রয় কমিটি করা হলেও, দরপত্র থেকে ক্রয়াদেশ দেয়া পর্যন্ত কোনো ধাপেই মানা হয়নি নিয়ম।
বাফুফের একাধিক কর্মকর্তার উপর নজর ফিফার। ৫১ পৃষ্ঠার অনুসন্ধান রিপোর্টে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। অনুসন্ধান এখনও চালাচ্ছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। যাদের নিয়ে অনুসন্ধান হয়েছে, আর যাদের নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। তাদের অব্যাহতি না দিলে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ফেডারেশনের উপর।
ফিফা ফরোয়ার্ড ফান্ডের প্রথম দুই মেয়াদের অর্থের অনিয়ম থেকে তদন্ত শুরু করে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। তৃতীয় সাইকেল নিয়ে সম্প্রতি দুবাইয়ের ওয়ার্কশপেও সতর্ক করেছে বাফুফে’র প্রতিনিধি দলকে।
কাজী সালাউদ্দিন আরও বলেন, হ্যাঁ, আমাকে জানিয়েছে, তারা আমাকে যেটা জানিয়েছে, যে দেখো তোমাদের যারা পেইড এক্সিকিউটিভ আছে, তোমরা একটা সারভে করে ট্রাই টু রিমুভ অল দ্যা ইয়ে… আমাদের নজর আছে তাদের সরাও। ফিফা যেটা বলেছে, তোমার সাথে আমি একমত। দে সুড রিমুভ। অ্যান্ড আই থিং এই মাসের মধ্যে সব রিমুভ হয়ে যাবে।
ফেডারেশনের প্রশাসনিক সংস্কারে অর্থ বিভাগের আরও কয়েকজন আছেন নজরদারিতে। পুরো সংস্কার না হলেও মিলবে না ফিফা ফরোয়ার্ড ফান্ডের আর্থিক বরাদ্দ।
খুলনা গেজেট/কেডি