রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকা লোকারণ্যে পরিণত হয়। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ১১ দফা দাবিতে এ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। একই দাবিতে এরইমধ্যে পাঁচটি সমাবেশ হয়েছে। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজকের সমাবেশে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের ভোটাধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বৈরাচারকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে এ সমাবেশ হবে। সমাবেশ সফল করতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার রাত থেকে ঢাকার আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। আজ ভোর থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করেন।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতাসীনরা মনে করে, দেশের মহান স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধে শুধু আওয়ামী লীগেরই অবদান ছিল। অথচ আরও যাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল, তাদের উপেক্ষা ও অবহেলা করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘ইতিহাস বিকৃতি’ করা হয়েছে। গত প্রায় ১৫ বছরে দেশের প্রায় পৌনে ৫ কোটি নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। ক্ষমতাসীনদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করতে পারেনি। রাজপথে হামলা-মামলার শিকার হয়েছে অনেকেই। এ সরকারের বিরুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি তরুণ সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাই তরুণদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম তৈরির লক্ষ্যেই এসব সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
এই সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলেও জানা গেছে। দলটি ফের শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সেক্ষেত্রে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশের কথা ভাবছে দলটি। বিএনপি আরও কিছুদিন গতানুগতিক কর্মসূচি দিয়ে ধীরে চালো নীতিতে এগোতে চায়।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এবার বিএনপি ঢাকাকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে ঢাকা ঘেরাও বা অবরোধ করার প্রস্ততিও রয়েছে দলটির।
খুলনা গেজেট/এনএম