প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মীরা এই দেশকে পিছনের দিকে টেনে নিচ্ছে। বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এসে এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, এই দেশের সম্পদ লুট করেছে, দুর্নীতি করেছে, খুনের রাজনীতি করেছে। শুধু তাই নয় তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। অথচ তারাই এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, উন্নয়নের কথা বলে। যা এদশের মানুষের কাছে হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারকে হত্যা করে তারা শুধু খুনের রাজনীতিই করেনি, এরপর তারা সেই খুনের বিচারক কার্যক্রম বন্ধ করে মানবাধিকারও হত্যা করেছে। সে কারণে আমাদের মনে রাখতে হবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি কোনভাবে যেন এ দেশের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
খুলনায় যুবলীগের আয়োজনে ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বিভাগীয় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল উদ্দিনে সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈনুল হোসেন খান নিখিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেসিসির মেয়র ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা শাখার সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী। আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শুব্রত পাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী মোঃ রায়হান ফরিদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, জেলার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহফুজুর রহমান সোহাগসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতারা।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সকল নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে যাত্রা শুরু করেছেন। সেই যাত্রাকে আরো ত্বরান্বিত করতেই দেশের সকল দেশ প্রেমিক, মুজিব আদর্শের তরুন সমাবেশকে একত্রিত হতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে খালেদা-তারেক জিয়া গং প্রত্যেকটি সেক্টরে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করে রাষ্ট্রের কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছিলো। দেশ থেকে সুশাসন বিতাড়িত করে তারা দুর্নীতি ও খুনি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো। এই খুলনাকে তারা মৃত্যু নগরীতে পরিণত করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সাংবাদিক নেতাদের খুন করে ভীতি ও অন্ধকার করে রেখেছিলো। অথচ স্মার্ট দেশ, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট প্রশাসন গড়ার জন্য যখন প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তখন রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তাঁরা। এর বিরুদ্ধে আমাদের তরুণরাই আগামীতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
খুলনা গেজেট/কেডি