নাটোরে প্রতিপক্ষের হাতে মার খেয়ে চিকিৎসা নিতে এসে খোদ হাসপাতালের ভেতরেই কুপিয়ে জখম ও হাত পায়ের রগ কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় আলামিন ও হাবিব নামে দুইজনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ জীবন ও তার সহযোগীরা।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০টা দিকে শহরতলীর হেমাঙ্গিনি ব্রিজে তাদের ওপর হামলা চালায় ওই দুর্বৃত্তরা। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসকেরা। এ সময় মমিন নামে আরও একজন আহত হয়।
আহত আলামিন (২০) পশ্চিম কান্দিভিটুয়া এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে ও হাবিব (২০) হাসেম আলীর ছেলে। আর মোমিন (২২) ও একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সামিউল ইসলাম শান্ত জানান, আলামিনের বাম পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। আর হাবিবের একহাতের রগ কাটা গেছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আর মোমিনকে সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ জানান, রাত দশটার দিকে পৌর শহরের হেমাঙ্গিনী ব্রিজের ওপর জীবন, জনি হাছানসহ আরও পাঁচ থেকে সাতজন এসে স্থানীয় আলামিন, হাবিবকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে জীবন ও মোমিন আবারো গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মোমিন ও আহত হয়। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। দোষীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড