বুধবার । ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ । ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

জয়ের জন্য ৪ বলে ২ রান দরকার বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক

সফলভাবে বাংলাদেশ একমাত্র টেস্ট জয়ের পর ওয়াডে সিরিজ ছিল আফগানিস্তানের দখলে। এবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে জয়ের মিশনে নেমেছে সাকিব আল হাসানের দল। ফরম্যাটটিতে চলতি বছর তারা ৬ ম্যাচের ৫টিতেই জয়ে পেয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের স্কোর : ১৯.২ওভারে ১৫৩/৬

আফগানিস্তানের স্কোর : ২০ ওভারে ১৫৪/৭

প্রথম ওভারেই আঘাত পেয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের দেওয়া ১৫৫ রানের জবাবে ব্যাটে নেমে একটা চার হাঁকিয়েছিলেন রনি তালুকদার। কিন্তু সেই মনোভাব আর তিনি ধরে রাখতে পারেননি। ফজলহক ফারুকির করা অফ-স্টাম্পের দিকে আসতে থাকা সোজা বল তিনি মিস করে গেছেন। আর তাতেই উড়ে গেল স্টাম্প, মাত্র এক ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারছেন না রনি। তিনি ফিরেছেন মাত্র ৪ রানে (৫ বল)।

তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে লিটন দাসের বিদায়ে। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের গলার কাটা হয়েছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। সর্বোচ্চ রান না করলেও, তার দ্রুতরান তোলার পথেই স্বাগতিকরা খেই হারায়। এবার বলে এসেও তিনি নিলেন লিটন দাসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এতে অবশ্য লিটনের অবদানও কম নয়। বুকের ওপরে ওঠে আসা বল মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন।

এরপরে বৃষ্টি শুরু হলে খেলা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। অধিনায়ক সাকিব আশা জাগনিয়া ব্যাটিং ‍শুরু করলেও ১৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। এ অবস্থায় দুই ওভারে ১৯ রান নিয়ে সাকিবের ব্যাটে পাল্টা আঘাতের পথে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাউন্ডারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়েই ধরা পড়লেন টাইগার অধিনায়ক। ফরিদ আহমেদের করা বলে অফ-সাইডে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে বাধ সেধেছেন করিম জানাত। ১৭ বলে সাকিব ১৯ রানে ফিরেছেন।

হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ম্যাচটি বেশ হাতের নাগালে নিয়ে এসেছিলেন শামীম পাটোয়ারী। জয়ের আশা জাগিয়েছেন দুই তরুণ মিলে। কিন্তু রশিদ খানের ঘূর্ণি সত্ত্বেও তুলে মারতে গিয়ে তিনি তালুবন্দী হয়েছেন। ফিরেছেন ২৫ বলে ৩৩ রানে।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন