ঋতু পরিবর্তন ছাড়াই কিছু মানুষের প্রায় বছরজুড়েই চুল পড়তে থাকে। যা খুবই বিরক্তিকর। সঠিক উপায়ে চুলের যত্ন না নেয়া, ঘন ঘন চুলের স্টাইল পরিবর্তন এবং পুষ্টি ঘাটতি কারণেই মাথার চুল পড়ে থাকে। কিন্তু চুল পড়া রোধে সবারই চেষ্টা থাকে।
থাইরয়েডের মতো শারীরিক সমস্যা থাকলেও অবিরত চুল পড়তে থাকে। আবার রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ খেলেও চুল পড়তে দেখা যায়। এসব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ একটু সচেতন হলেই চুল পড়া রোধ করা সম্ভব। এবার তাহলে পুষ্টিবিদ এবং নিউট্রিফাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা তানিয়া শর্মা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সেসব বিষয়ে জানিয়েছেন।
খাদ্যাভ্যাসে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে চুল পড়ে থাকে। ভিটামিন বি, আয়রন ইত্যাদি পুষ্টির অভাবে চুল পড়ে। আবার একইভাবে উচ্চ-গ্লাইসেমিক যুক্ত খাবার খেলেও চুল পড়ে।
উচ্চ-গ্লাইসেমিক যুক্ত খাবার ইনসুলিন স্পাইক সৃষ্টি করে। মিহি আটা, রুটি এবং চিনির মতো খাবার হচ্ছে উচ্চ জিআই খাবার। এসব খাবার হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে এবং ইনসুলিন ও অ্যান্ড্রোজেনের বৃদ্ধি ঘটায়। যা চুলের ফলিকলের সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং চুল পড়ার দিকে ধাবিত করে।
অ্যালকোহল পানের কারণেও মাথার চুল পড়ে। চুল কেরাটিন নামক প্রোটিনে তৈরি। কেরাটিন এমন একটি প্রোটিন যা চুলের গঠনে সহায়তা করে। অ্যালকোহল প্রোটিন সংশ্লেষণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এ থেকে চুল দুর্বল হতে থাকে। আর ভারী অ্যালকোহল বা দীর্ঘদিন অ্যালকোহল পানে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। যা থেকে চুলের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ফলিকল ধ্বংস করে।
অনেকে ডায়েট সোডা ব্যবহার করেন। এই উপাদানে অ্যাসপার্টাম নামক কৃত্রিম মিষ্টি উপাদান থাকে। গবেষকদের মতে উপাদানটি চুলের ফলিকলের ক্ষতি করে। যদি সম্প্রতি চুল পড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে ডায়েট সোডা ব্যবহার কিছুদিন বন্ধ রাখতে পারেন।
জাঙ্ক ফুড খাওয়া আজকাল অভ্যাস হয়ে গেছে অনেকের। অথচ স্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ জাঙ্ক ফুড আপনার শুধু স্বাস্থ্যই বৃদ্ধি করে না। বরং কার্ডিওভাসকুলার রোগেরও জন্ম দেয়। একই সঙ্গে মাথার চুল পড়ে যাওয়ায়ও ভূমিকা রাখে। এছাড়া জাঙ্ক ফুড ত্বককে চর্বিযুক্ত করে তোলায় ত্বকের ছিদ্র আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লোমকূপ ছোট হয় এবং নতুন করে চুল উঠতে বাধা প্রদান করে।
খুলনা গেজেট/এসজেড