সব প্রস্তুতি শেষ। আবহাওয়া ও কারিগরি বিষয়গুলো অনুকূলে থাকলে আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ভারতের নতুন মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩।
বিশ্বের মাত্র চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতণের চেষ্টায় আছে ভারত। চন্দ্রযান-৩ নামের নতুন মিশনটি; দেশটির তৃতীয় চন্দ্রাভিযান।
চন্দ্রযান-৩ শুক্রবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকতা সতীশ দেওয়ান মহকাশকেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।
চন্দ্রযান-৩ অভিযানটি ভারতের চাঁদের বুকে অবতরণের দ্বিতীয় অভিযান। ২০১৯ সালে দেশটি চন্দ্রযান-২ নামে একটি যান চাঁদে অবতরণের জন্য পাঠিয়েছিল। তবে সেটি চাঁদের ভূপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করতে পারেনি।
এর আগে ২০০৭ সালে চন্দ্রযান-১ নামের একটি মহাকাশযানকে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণের জন্য পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি। এক বছর সফলভাবে প্রদক্ষিণের পর ২০০৮ সালে এটিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চন্দ্রযান-৩ তৈরি করেছে। এই যানটিতে একটি ল্যান্ডার, প্রোপালসন মডিউল এবং রোভার রয়েছে। এটির লক্ষ্য হলো নিরাপদে চাঁদে অবতরণ করা, তথ্য সংগ্রহ করা এবং চাঁদের গঠন নিয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন সফলভাবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পেরেছে।
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন। তাদের লক্ষ্য হলো নতুন মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩-কে চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করানো।
২০০৭ সালে ভারতের চন্দ্রযান-১ চাঁদে পানির অণু খুঁজে পেয়েছিল। এর ১১ বছর পর তাদের দ্বিতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-২ সফলভাবে চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করে। কিন্তু মহাকাশটির রোভার চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে। চন্দ্রযান-২ এরও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা ছিল। সূত্র : সিএনএন।
খুলনা গেজেট/এনএম