ঢাকায় আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ যোগ দিতে ১৫ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে রওনা হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলটির সমাবেশে যোগ দিতে জাহাঙ্গীর আলম ২৫০টি বাস, ৭০টি মাইক্রোবাসে প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
বুধবার (১২ জুলাই ) দুপুরে জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে এসব তথ্য জানানো হয়। বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ কিংবা কোনো পদ পদবী না থাকলেও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে এর আগেই ঘোষণা দেন।
এর আগে জাহাঙ্গীর বলেন, দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নির্দেশ পেয়ে শান্তি সমাবেশে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। ৫০০ গাড়ি নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। আওয়ামী লীগকে বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সমাবেশ শুরু হবে বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টায়। ইতোমধ্যে সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে নেতা-কর্মীরা ভিড় করছেন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন এসব নেতাকর্মী।
সোমবার (৩ জুলাই) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনের শপথ নেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ওই শপথ অনুষ্ঠান হয়। শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। এই সিটিতে গত ২৫ মের নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু দল মনোনয়ন দেয় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি তার মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।
ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। সাধারণ গৃহিণী থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে মেয়রপ্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন ৬১ বছর বয়সী জায়েদা খাতুন। স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
খুলনা গেজেট/এনএম