পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙ্গর আবার রণক্ষেত্রে পরিণত হলো। মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ অশান্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। এর ফলে চারজন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। নিহতরা নাকি সবাই নৌশাদ সিদ্দিকির আইএসএফ-এর সমর্থক। সিপিএম এই ঘটনাকে ভাঙ্গর গণহত্যা বলে অভিহিত করে বৃহত্তম আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতের ঘটনায় ভাঙ্গর দু নম্বর ব্লকের গণনা কেন্দ্রে আটকে পড়েন তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। তৃণমূলের আরাবুল এবং আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকির সমর্থকদের লড়াইয়ে সারাদিন উত্তপ্ত ছিল ভাঙ্গর। মুড়ি মিছড়ির মতো বোমা পড়ে এখানে। কিন্তু গভীর রাতে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে প্রায় চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে ভাঙ্গর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আইএসএফের জাহানারা বিবি বিজয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়।
কিছুক্ষণের মধ্যে জানানো হয় জাহানারা বিবি দ্বিতীয় হয়েছেন, বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। আই এস এফ সমর্থকরা ফুঁসে ওঠেন এই ঘটনায়। তাদের অভিযোগ, আরাবুল ইসলাম গণনা কেন্দ্রে থেকে কারচুপি করেছেন। উত্তাল হয় আইএসএফের বিক্ষোভ। এসময়ই আক্রান্ত হয় পুলিশ। প্রথমে রাবার বুলেট, জলকামান দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা হয়। কিন্তু, পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। অভিযোগ, এতেই প্রাণ যায় চারজনের।
খুলনা গেজেট/এনএম