দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৪ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রোববার (৯ জুলাই) খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ৬৯ রান এসেছে শিহাব জেমসের ব্যাট থেকে। জবাবে ৪৯ ওভারে ২৫৪ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ এ সমতা এনেছে জুনিয়র টাইগাররা।
২৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু করতে পারেনি সফরকারীরা। শুরুতেই লুয়ান-ড্রে গিলবার্ট প্রিটোরিয়াসকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ওপেনারকে এদিন দাঁড়াতেই দেননি রোহানাত দৌলাহ বর্ষণ। ৬ বল খেলে ১ রান করে ফিরতে হয়েছে প্রিটোরিয়াসকে। তবে তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক ডেভিট টিগার। তার অর্ধশতকে ভর করে ভালোই এগোচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলীয় ১৫৭ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন তিনি। ৯৩ বলে ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়েছেন টিগার।
এরপর দেওয়ান মারিয়াস ৩৮, অলিভার হোয়াইটহেড ৩৮, লিয়াম অ্যাল্ডার ১৮ ও রোমাশান সোমা পিলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ২৫৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের রাফিউজ্জামান রাফি নিয়েছেন তিন উইকেট। আরিফুল ইসলান এবং রোহানাত বর্ষণ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। আর একটি উইকেট পেয়েছেন মাহফুজুর রাব্বি।
প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ যুবারা। তবে দফায় দফায় বৃষ্টির বাগড়ায় ডিএল মেথডে ২৯ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৩। এমন টার্গেট তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা যুবাদের কাছে ১০ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা। আজ আর সেই ভুল করেনি টাইগাররা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। নিশ্চিন্তেই এই জুটি অর্ধশতক পার করেন।
রিজওয়ান দলীয় ৬০ রানে বিদায় নিলে ভাঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার লিয়াম অ্যাল্ডারের বলে বোল্ড আউট হন ওপেনার রিজওয়ান। তিনি ৩৭ বলে ২৫ রান করেছেন। তিনে নেমে আশিকুর রহমান শিবলী বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সিফো পোটসানের বলে জুয়ান জেমসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শিবলী।
চারে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন আরিফুল ইসলাম। সঙ্গ দিয়েছেন আদিল বিন সিদ্দিককে। ২৩.৫ ওভারে দলীয় ১১১ রানে জুয়ান জেমসের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আদিল। তিনি ৫৩ বলে ৪১ রান করেছেন। অধিনায়ক আহরার আমিন নেমে শূন্য রানে ফেরেন।
শিহাব জেমস নেমে দারুণ সঙ্গ দেন আরিফুলকে। দলের হাল ধরেন এই দুই ব্যাটার। তবে সামান্য দুই রানের জন্য অর্ধশতকের দেখা পাননি আরিফুল। অলিভার হোয়াইটহেড বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৬০ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। তবে অর্ধশতকের দেখা পায় শিহাব জেমস। শিহাবের ব্যাটে ভর করে দারুণভাবে এগিয়ে যায় টাইগাররা।
শেষ মুহূর্তে ৪৭.১ ওভারে দলীয় ২৩৩ রানে কুয়েনা মাফাকার শিকার হন শিহাব। তিনি ৭১ বলে ৬৯ রান করেছেন। এছাড়া জাকারিয়া ইসলাম শান্ত ২৮ ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি ২৭ রান করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেওয়ানা মাফাকা ও সিফো পোটসান ২টি করে উইকেট তুলে নেন। এছাড়া লিয়াম এল্ডার, জুয়ান জেমস ও অলিভার হোয়াইটহেড একটি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
সূচি অনুযায়ী, আগামী ১১ জুলাই খুলনার শেখ আবু আবু নাসের স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দু’টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে, ১৪ ও ১৭ জুলাই। পাঁচ ম্যাচের এই সফর শেষ করে প্রোটিয়া যুবা দল বাংলাদেশ ছাড়বে ১৮ জুলাই।
খুলনা গেজেট/এমএম