সাকিবের করা ইনিংসের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলটি মিডল স্টাম্পের ওপর ছিল। সেখানে টার্ন আর বাউন্সে পরাস্ত হন গুরবাজ। তাতে বল আঘাত হানে তার প্যাডে আর সঙ্গে সঙ্গেই হাত তুলে সাকিবের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি গুরবাজ, তাই রিভিউ নেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১৪৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। তাতে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ম্যাচে ৪৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর গুরবাজ সেঞ্চুরি করেন ১০০ বলে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি গুরবাজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। এর আগে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
গুরবাজ ফেরার ঠিক পরের বলেই রানআউটের সুযোগ এসেছিল। জাদরানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল রহমত শাহর। শর্ট মিডউইকেট থেকে সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন রহমত। তাওহিদ হৃদয়ের থ্রো ছিল উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে, সেটি ধরে স্টাম্প ভাঙেন বাংলাদেশ উইকেটকিপার। কিন্তু, থ্রো সংগ্রহ করার আগেই মুশফিকের গায়ে লেগে ভেঙেছিল স্টাম্প।
রহমত অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি। পরের ওভারে ইবাদতকে পুল করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে শুধু ব্যাট ঘুরিয়েছিলেন রহমত। পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
রহমত শাহর পর হাশমতউল্লাহ শহীদি অবশ্য আক্রমণের দিকেই গেলেন, মাশুলও দিলেন। এবার মিরাজের ফুললেংথ বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন অধিনায়ক শহীদি।
মিরাজের বলে আউট হন নাজিবুল্লাহ জাদরান। লং অনে লিটনের হাতে ধরা পড়েছেন। তিনি ১৫ বলে ১০ রান করে। এরপর সেঞ্চুরির পর মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ইব্রাহীম জাদরান।
এরপর সাকিবের বলে ফেরেন রশিদ খান। রশিদকে এগিয়ে আসতে দেখে লেংথ কমিয়ে ফেলেছিলেন সাকিব। সে বলের আর নাগাল পাননি তিনি। বাকি কাজটুকু সেরেছেন মুশফিকুর রহিম। আফগানিস্তান হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট। ৫০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারাল তারা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৭ ওভারে আফগানদের দলীয় রান ৩০৬ রান।
শনিবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ঢংয়ে খেলছেন গুরবাজ। জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের এক ওভারে ১৫ ও এবাদত হোসেনের এক ওভারে ১২ রান তুলেন তিনি। যদিও জাদরান খেলছিলেন কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে।
এ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে টাইগাররা। অবসরকাণ্ডে তামিম ইকবাল বাকি দুই ওয়ানডেতে নেই। তার বদলে ওপেনিং পজিশনে সুযোগ পেয়েছেন নাঈম শেখ। পেসার তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে একাদশে ডাক পেয়েছেন এবাদত হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন কুমার দাস, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি, মোহাম্মদ নবি, নাজিবউল্লাহ জাদরান, রশিদ খান, ফজলহক ফারুকি, মুজিব উর রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও সালেম সাফি।
খুলনা গেজেট/এমএম