মঙ্গলবার । ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ । ১লা আশ্বিন, ১৪৩২

সমুদ্রের পানিতে জ্বলবে নবায়নযোগ্য বাতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পৃথিবীর ৪ ভাগের ৩ ভাগ ঢেকে আছে পানিতে। পানি ছাড়া বেঁচে থাকা দায়। সে পানিই এখন অন্ধকারকে করেছে জয়। আলো ফিরিয়ে আনছে বিশ্বের নানা প্রান্তে।

নবায়ণযোগ্য শক্তি নিয়ে সারা পৃথিবীতেই চলছে নানা গবেষণা। চলছে নতুন নতুন আবিষ্কার। বাদ যায়নি সমুদ্রের পানিও। নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে কাজ করা কলোম্বিয়ান স্টার্ট-আপ ই-ডিনা এনার্জী আবিষ্কার করেছে এমনই এক বাতি যা চলতে লাগবেনা কোন বিদ্যুৎ কিংবা গতানুগতিক জ্বালানি। সহজলভ্য প্রাকৃতিক সম্পদ সমুদ্রের পানিতে জ্বলে উঠবে আলো। বাতিটির নাম দেয়া হয়েছে ওয়াটারলাইট। পরিবেশবান্ধব, পুন:ব্যবহারযোগ্য এই বাতি জ্বলতে পারে ৪৫ দিন পর্যন্ত।

ওয়াটারলাইটের আলোয় বদলে গেছে কলোম্বিয়ার সীমান্তে লা গুয়াজিরা পেনিনসুলায় বসবাসরত ওয়াইয়ু সম্প্রদায়ের জীবন। বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই সম্প্রদায়ের রাতটুকু কাটত অন্ধকারেই। কিন্তু ওয়াটারলাইট ব্যবহারে এখন এসেছে পরিবর্তন।

এ বিষয়ে ওয়াইয়ু সম্প্রদায়ের একজন বলেন, আগে রাতের আঁধারে রান্না করতে পারতাম না। বাচ্চাদের পড়াশোনায় সাহায্যও করতে পারতাম না। এখন ওয়াটারলাইট থাকায় এমন সমস্যা আর হচ্ছে না।

আরেকজন বলেন, আমরা কারুশিল্পের যে কাজ করি, আলোর অভাবে আগে শুধু দিনেই কাজ করতে পারতাম। অনেক সময় তাই নির্ধারিত সময়ে অর্ডারের মালপত্র দিতে পারতাম না। এখন রাতেও কাজ করতে পারি।

রাতে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা জানিয়ে একজন বলেন, ওয়াটারলাইট ছাড়া মাছ ধরতে যাবার কথা ভাবতেও পারি না। মাছ আলো দেখে তার আশেপাশে ঘুরতে থাকে। আগের চেয়ে তাই বেশি মাছ ধরতে পারি। অনেক দূরে মাছ ধরতেও যেতে পারি

আলোর সরবরাহ ছাড়াও এর মাধ্যমে ফোন চার্জ ও রেডিও শুনতে পাওয়া যায়। ক্ষেত্রবিশেষে বিদ্যুৎহীন এলাকায় কম্পিউটার বা টেলিভিশন চালাতেও এ বাতি ব্যবহার করা যাবে। হতে পারে ক্যাম্পিংয়ের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।

পৃথিবীর প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষের এখনও নেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের পুরোপুরি সুবিধা। এমন মানুষদের জন্য সল্ট ওয়াটারলাইট হতে পারে আশার আলো।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন