খুলনার ভৈরব নদ থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তিনি নগরীর দৌলতপুর থানা এলাকার স্টেশন রোড হেলালের বাগান এলাকার জনৈক হেমায়েত কাজীর ছেলে মিরাজ কাজী। তিনি ২ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ৩দিন পর তার লাশ নদী থেকে উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনায় নৌ পুলিশ বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
খুলনা সদর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জসিম উদ্দিন বলেন, নিহত মিরাজ কাজী একজন ইজিবাইক চালক ছিলেন। তিনি ২ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে যান। পরবর্তীতে তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরের দিন মৃতের বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধারের খবর জেনে মিরাজ কাজীর বাবা-মা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন। তবে মরদেহের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। তার ধারণা তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নৌ থানার এস আই শহীদুল আলম মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটির তদন্তভার তার ওপর পড়েছে। দুপুরের পর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত চলছে। তবে আসামি দ্রুত ধরা পড়বে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড