বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ ২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে এক এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শেরে বাংলা রোডস্থ নগর স্বাস্থ্য ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম শিশুদেরকে দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন তাদের সুরক্ষার জন্য টিকাদান কর্মসূচির গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন সরকারিভাবে শিশুদের দশটি টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু এর বাইরেও শিশুদের সুরক্ষার জন্য টিকা রয়েছে। শিশুদের জীবন রক্ষায় সেগুলোর প্রতি অবিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য খুলনাকে আদর্শ নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এজন্য কেসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগকে আরো গতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে। সম্প্রতি ঢাকা মহানগরীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি সকলকে সচেতন হবার আহবান জানান।
সভায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর আওতায় বাদপড়া শিশু, আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশুদের সনাক্ত করে তাদের টিকা প্রদান নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এস এম কামাল হোসেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা. আরিফুর রহমান ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিল্যান্স এন্ড ইম্যুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুর রহমান সজিব। কেসিসি ও সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা ও স্বাস্থকর্মীগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড