ইউরোপের সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ডে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ হাজার ২০০ বার মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় দেশটির রাজধানী রেইকিভেকে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এসব মৃদু ভূমিকম্পের মধ্যে অন্তত ৭টির মাত্রা চারের বেশি ছিল। তবে বাকিগুলো কম মাত্রার ছিল। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস (আইএমও) এ তথ্য জানিয়েছে। এএফপির বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে খালিজ টাইমস।
আইএমওর তথ্য বলছে, এর উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ফাগরাদশপিয়াচ পাহাড়ের নিচে। ফাগরাদশপিয়াচ একটি আগ্নেয়গিরির ওপর অবস্থিত।
এত বেশিসংখ্যক ভূমিকম্পের কারণে অগ্ন্যুৎপাতের শঙ্কা দেখা দেয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোথাও লাভার উদ্গিরণ দেখা যায়নি।
এছাড়া ভূমিকম্পের এই ঘটনায় আইসল্যান্ডের আবহাওয়া সংস্থা তাদের অ্যাভিয়েশন সতর্কতা ‘সবুজ’ থেকে বাড়িয়ে ‘কমলা’ স্তরে উন্নীত করে।
মূলত রঙের এই কোডটি বিমান শিল্পকে অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া অফিস জানায়, যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ‘অগ্নুৎপাতের কম্পন’ পরিলক্ষিত হয়নি, তারপরও ‘আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে’ তেমন একটি কম্পন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে।
এএফপি বলছে, ইউরোপের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অঞ্চল হচ্ছে আইসল্যান্ড। দুই টেকটোনিক প্লেটের মাঝামাঝি অবস্থানের কারণে আইসল্যান্ডে নিয়মিতই মৃদুমাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে রাজধানী রিকজাভিক থেকে ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দূরে অবস্থিত মাউন্ট ফাগরাডালসফলের কাছে লাভা ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সক্রিয় আগ্নেয়গিরির বিরল এই দৃশ্য নিজ চোখে দেখতে হাজার হাজার পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করে থাকেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড