যশোরের রাজারহাট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার হাট। শনিবারের হাটে ব্যবসায়ীরা ২ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করলেও, প্রান্তিক চামড়া ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়েছেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেড়েছে হতাশা।
মৌসুমি ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা এবারও চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ হয়েছেন। চামড়ার মোকামে দেখা গেছে, ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা হাটে চামড়া নিয়ে এসেছেন। সেসব চামড়া তাঁরা আড়তদারদের কাছে বিক্রি করছেন। মোকামের বিভিন্ন আড়তে শ্রমিকেরা কাঁচা চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের কাজ করছেন। কিন্তু তারা চামড়ার যথাযথ দাম পাননি। এ নিয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
মনিরামপুর থেকে চামড়া নিয়ে আসা ফড়িয়া ব্যবসায়ী নিমাই দাস বলেন, গ্রাম থেকে ১৫টি গরুর চামড়া কিনে তা হাটে বিক্রি করেছি। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম অনেক কম। যে দামে কেনা সেই দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কম দামে চামড়া কিনে সংরক্ষণ করছেন আড়তদারেরা।
আড়তদার হাসিব চৌধুরী বলেন, গরুর চামড়া মানভেদে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা দরে চামড়া কিনেছি। ৩০ ফুটের একটি গরুর চামড়া সংরক্ষণ করতে ৫ কেজি লবণ লাগে। এ বছর লবণের দাম বেশি। সংরক্ষণ খরচ বেশি পড়ে যাচ্ছে। ট্যানারি মালিকরা এবার বেশি দাম দেবেন না চামড়া। এ কারণে তারা বেশি দামে চামড়া কিনতে পারছেন না বলে জানান। তিনি বলেন, এদিন হাটে বিপুল পরিমাণ চামড়া উঠেছে। শনিবার রাজারহাটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড