মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র কুরবানির প্রথম দিন আজ। এদিন সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীতে কুরবানি করা হয়েছে পশু। আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি কুরবানি দিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
অবশ্য কুরবানিতে খুশি হতে পারেনি মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করছেন তারা। এমনকি কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কাও তাদের। অন্যদিকে ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই তারা কাঁচা চামড়া কিনছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদের দিন সকালে খুলনাসহ দেশেের প্রায় সব এলাকায় মাদরাসা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কুরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেন। তবে যে দামে তারা চামড়া সংগ্রহ করছেন সে দামেও তা কিনছে না লালবাগ পোস্তার কাঁচা চামড়ার আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা।
কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, লাভের আশায় মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে যে টাকায় তারা চামড়া সংগ্রহ করেছেন এখন বিক্রি করে তাদের পরিবহন খরচই উঠছে না।
এদিকে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিশনের দাবি, কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে অভিযোগ থাকলেও লবণ দেওয়া চামড়া কেনাবেচা হবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় এ বছর ৫ থেকে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
এবছর বড় আকারের গরুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, মাঝারি গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া গত বছরের মতই প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
খুলনা গেজেট /কেডি