বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে জিয়াউর রহমানের আর্বিভাব হয়েছিল হঠাৎ করেই ১৯৭১ সালে। তার কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সেই সময় দেশটির এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে মানুষের মনে সাহস জাগিয়েছিল, সৃষ্টি করেছিল প্রেরণা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। আজ স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলতে সরকার নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শনিবার (২৪ জুন) বিকাল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাব ব্যাংকুয়েট হলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর বিএনপির স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটি আয়োজিত এবং খুলনা মহানগর ও জেলা জাতীয়তাবাধী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস;র সহযোগিতায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশের কর্ণধর উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সরকার সঠিক ইতিহাস বিকৃত করেছে। তারা দেশের ইতিহাস থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার যড়যন্ত্র করছে বলেই বিএনপি শহীদ জিয়ার অবদানের কথা শিশু কিশোরদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিশু একাডেমি ও নতুন কুড়ি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের মেধা মননের বিকাশ ঘটিয়ে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধবংস হয়ে গেছে, মানুষের বিবেক নষ্ট হয়ে গেছে, মানুষের মূল্যবোধ শেষ হয়ে গেছে। পুরো দেশ আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সফল কর্মময় জীবনী আগামীর প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে হবে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটি খুলনা বিভাগীয় আহবায়ক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটি খুলনা বিভাগীয় সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবি, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান,খুলনা মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি। বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন স. ম. আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ইসা, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে. এম. হুমায়ূন কবির, হাফিজুর রহমান মনি, আবু মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, বেগ তানভিরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, এহতেশামুল হক শাওন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আহসান উল্লাহ বুলবুল, অ্যাড. মো. আলী বাবু, তারিকুল ইসলাম, শেখ জামাল উদ্দিন, গাজী আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, আব্দুর রহমান ডিনো, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মিজানুর রহমান মিলটন , শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস , আজিজা খানম এলিজা, সরদার শফিকুল আমিন লাভলু, এমদাদ হোসেন, মো. আব্দুল ওহাব, আসাদুজ্জামান আসাদ, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, মো. শহীদ খান,মতলুবুর রহমান মিতুল মোড়ল, যুবদলের নেহিবুল হাসান নেইম, সাইফুল ইসলাম সান্ট, আব্দুল আজিজ সুমন, মহিলা দলের এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, ছাত্রদলের ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, মুন্তাসির আল মামুন, খায়রুজ্জামান সজিব, কৃষকদলের শেখ আদনান ইসলাম দীপ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাসাস খুলনা মহানগর শাখার আহবায়ক ইঞ্জি. নুর ইসলাম বাচ্চু। আলোচনা শেষে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। – খবর বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেডি