‘বিএনপি বলছে- এই সরকারের প্রতি বিদেশিদের সমর্থন নাই, দেশের মানুষের সমর্থন নাই। বিদেশিদের সমর্থনের কোনো দরকার আমাদের নাই। আমরা চাই জনগণের সমর্থন। জনগণ এদেশের মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে, আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে কিনা। সেটা নির্বাচনে প্রমাণ হবে।’
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর অডিটরিয়ামে শিক্ষক ফেডারেশনের আত্মপ্রকাশ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন কেন্দ্র করে তারা (বিএনপি) আবার দেশটাকে উত্তাল করতে চায়। সংবিধানের আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা বিদেশিদের কাছে হাত পাতছেন, তাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও অনেক বিদেশি শক্তি আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। সেই সময় দেশের জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার নির্বাচিত সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার। জনগণের জানমালের, জনগণের সম্পদের, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদেন পবিত্র দায়িত্ব। আমরা এগুলো মোকাবিলা করব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ মতো আর তাণ্ডব চালাতে দিব না বিএনপিকে। মানুষকে জীবন্ত হত্যা করবেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন দিবেন- তা হবে না এখন। বর্তমান সরকার এগুলোকে প্রতিহত করতে পারে।
তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি তারা আবার দেশটাকে উত্তাল করতে চাচ্ছে। তারা ১৪ সালে যে তাণ্ডব চালিয়েছে সে রকম আর তাণ্ডব চালাতে পারবে না। বর্তমান সরকার দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, উন্নয়ন করেছে, জনগণ সরকারের সঙ্গে রয়েছে, জনগণকে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করব।
রাজ্জাক আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক বেশি সুশৃঙ্খল। তারা অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে, অনেক বেশি সংগঠিত। তাদের দায়িত্ব বর্তমান সরকারকে নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা সে সক্ষমতা রাখে তারা কোনো রাজনৈতিক অস্থিতিশীল সৃষ্টি করতে দেবে না।
ঐতিহাসিক নানা দৃষ্টান্ত টেনে শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা দেশের গুরুত্বপূর্ণ দিক। শিক্ষার ওপর একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে। তাই এই শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের কাজ করতে হবে। দাবি আদায়ে বা সমস্যা সমাধানে শিক্ষকদের সংগঠিত থাকা দরকার। এ জন্য ফেডারেশন থাকা ভালো। কিন্তু ফেডারেশনে রাজনীতি যেন প্রবেশ না করে। দলাদলি করা যাবে না।
এ সময় মধুপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল কুমার দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা গবেষণা কমিটির কো অর্ডিনাটোর প্রফেসর ডক্টর আবু হাদী নুর আলী খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন, মধুপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইয়াকুব আলী প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম