মহামারী করোনা দুর্যোগকালে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। এসময়ে কৃষি পণ্য বিক্রি হয়েছে পানির দামে। কৃষি পন্য বাকীতে কিনলেও সে অর্থ এখনো পরিশোধ করেনি পাইকাররা। ফলে কৃষক নানাভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার কৃষি প্রণোদনা দিলেও খুলনা জেলার মাত্র দুই শতাংশ কৃষক সে সুযোগ পেয়েছেন। প্রণোদনা পাওয়া জেলার কৃষকের সংখ্যা মাত্র এক হাজার ৭৬০জন। অথচ খুলনায় ৮০ হাজার কৃষক কৃষিপণ্য আবাদের উপর নির্ভরশীল।
ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মাঠে ঝিঙে, ঢেঁড়শ, ডাটাশাক, কলমি শাক, লালশাক থাকলেও করোনা মহামারীর কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য পায়নি। ফলে জেলার ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাদার চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা মহাজন, এনজিও এবং ব্যাংকের কাছে ঋণী হয়ে পড়েছে। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে কৃষি মন্ত্রণালয় বীজ, সবজি ও বাগান স্থাপন পারিবারিক কৃষির আওতায় পুষ্টি বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ কর্মসূচির আওতয়ায় জেলার এক হাজার ৭৬০জন কৃষককে ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়। তালিকাভুক্ত প্রত্যেক কৃষকের ব্যাংক হিসেবে এক হাজার ১৩৫টাকা পাঠানো হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সাইনবোর্ড ও বেড়া পরিচর্যার জন্য ৭০০টাকা হাতে রাখে। নিজেদের তত্বাবধায়নে কৃষকের বাড়ীতে একশতক জমির উপর কৃষি বিভাগ সাইডবোর্ড ও পরিচর্যার জন্য বেড়া নির্মাণ করে দেয়। এ নিয়ে দুর্নীতির দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলার কয়েকজন কৃষকের নাম তালিকায় থাকলেও তারা এ পরিচর্যার সুবিধা পায়নি।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, ডুমুরিয়াতে ২৯০টি কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তাকে কৃষক উপকৃত হয়েছেন।
ফুলতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাফ ইবনে আমিন বলেন, ১২০জন কৃষক করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রণোদনা পেয়েছে। ফলে সুবিধাভোগী কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন