খুলনা সিটি কর্পোরেশনে জয়ের পেছনে ৩ কারণ জানিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। দল-সংগঠন, নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ততা ও উন্নয়নের কারণেই জয় পেয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরীর ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নির্বাচনের সময়ে আমি বলেছিলাম আমার ২০০-২৫০ টি রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, খালের কাজ চলমান। আগে এই কাজগুলো সম্পন্ন করব।
জয়ের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের সংগঠন ও কর্মীরা মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। আর খুলনাবাসীর উন্নয়নের প্রতি একটা সমর্থন ছিল। যার কারণেই আমি জয় পেয়েছি।
নির্বাচনে অর্ধেক নতুন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে, তাদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম আছে তাদের আমার সাথে সমন্বয় করে চলতে হবে। মেয়র তার নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চলবে। সিটি কর্পোরেশন চালানোর জন্য যারাই নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মেয়রের সাথে থেকেই করতে হবে।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৮৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোট। এবারই প্রথম খুলনা সিটির সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ হয়েছে।
সহিংসতার খবর না পাওয়া গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা। প্রায় অনেক কেন্দ্রে ইভিএম ধীরগতিতে কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
এ নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডে ৩১ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। এ নিয়ে তিনি তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন।