‘চলতি বছরের আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে মাওয়া থেকে-ঢাকা রেলের ট্রায়েল রান শুরু হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ভাঙ্গা-কালনা–লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর পর্যন্ত (২য় অংশের) কাজের অগ্রগতি প্রায় ৭৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে রেল প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। এতে অনেক সময় বাঁচবে, রাস্তাও কমে আসবে। ফলে যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে।’
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে এক ব্রিফিংয়ে উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় উদ্ধর্তন সেনা কর্মকর্তা, রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও নড়াইলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিংয়ের পূর্বে রেল মন্ত্রী লোহাগড়ার কালনা এলাকায় মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত রেল সেতু পরিদর্শন করেন।
তিনি আরও বলেন, একটি বৈরি সময়ে আমরা এ প্রকল্পের কাজ করছি। একদিকে কোভিড, পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে একটি বৈরি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অবিভক্ত ভারতে রেল যেভাবে আমরা পেয়েছি, পরবর্তীতে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে রেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু রেলকে বিস্তৃত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর রেল শুধু পিছনের দিকে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের গুরুত্ব বুঝতে পেরে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় করেছেন।
ব্রিফিংয়ের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেল প্রকল্পের প্রধান সমন্ময়ক মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সামসুল আলম, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরিসহ প্রমুখ। দুপুরের মধ্যহ্নভোজ শেষে সড়ক পথে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে লোহাগড়া ত্যাগ করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম