মঙ্গলবার । ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ । ১লা আশ্বিন, ১৪৩২

কোমায় ২২ বছর থাকার পর নারীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বোমা হামলার শিকার মার্কিন বংশোদ্ভূত এক ইসরায়েলি নারী দীর্ঘ ২২ বছর কোমায় ছিলেন। অবশেষে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হতে হলো তাকে।

২০০১ সালের ৯ আগস্ট জেরুজালেমের একটি পিজ্জা রেস্টুরেন্টে আত্মঘাতী বোমা হামলার শিকার হন তিনি। এরপর বছরের পর বছর ধরে কোমায় থাকতে হয়েছে তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না ওই নারীকে। খবর বিবিসির।

জেরুজালেমের সারো পিজেরিয়ায় ২২ বছর আগে যখন হামলা চালানো হয় সে সময় ছানা নাচেনবার্গের বয়স ছিল ৩১ বছর। ওই হামলায় সাত শিশু এবং এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ১৫ জন নিহত হয়। ওই হামলায় তিনি ছাড়াও আরও দুই মার্কিন নাগরিক নিহত হন।

ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় আহলাম তামিমি নামের এক নারীকে ২০০৪ সালে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েলের একটি আদালত। তার জন্ম পশ্চিম তীরে এবং তার জর্ডানের নাগরিকত্বও ছিল। ২০১১ সালে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি মুক্তি পান।

ইজ আল-দিন শুহেইল আল-মাসরি নামের এক ব্যক্তি ওই হামলা চালিয়েছেন বলে পরবর্তীতে জানা যায়। ওই হামলাকারীকে সহায়তা করেছিলেন তামিমি। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি জর্ডানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ভয়াবহ ওই হামলার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন বরং গর্বিত বলে জানিয়েছেন তামিমি নিজেই। এদিকে এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর তালিকায় তামিমির নাম রয়েছে।

সারো নামের যে রেস্টুরেন্টে হামলা চালানো হয় সেটি পশ্চিম জেরুজালেমের একটি ব্যস্ত এলাকায় অবস্থিত। হামলার সময় ওই রেস্টুরেন্টে প্রচুর লোকজনের ভিড় ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০০১ সালের ৯ আগস্ট ওই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন তামিমি এবং মাসরি এবং আত্মঘাতী হামলাটি চালায়।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন