খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া মামলার প্রধান আসামি মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুদকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মজিবুর রহমান ও রাসেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আজাহারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে ১৬ মে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ওই মাদ্রাসার সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে পাশ করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মারপিট করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার বাড়িতে আটকে রেখে প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে নির্যাতনের পর নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম