খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

এ বছর হজে যাচ্ছেন, পূর্বশর্ত ও প্রস্তুতি-০১

গেজেট ডেস্ক

মাশা আল্লাহ আপনি হজের নিয়ত করেছেন এবং হজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন; কিন্তু হজ পালনের নিয়ম সম্পর্কে আপনার রয়েছে কৌতূহল, আছে জানার ইচ্ছা। আসুন, আমরা হজ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং এটি পালনের নিয়মগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। সুরা আল–ইমরানের ৯৭তম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যাঁদের মক্কায় কাবায় যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য আছে, তাঁর কর্তব্য হজ পালন করা। আর যে অবিশ্বাসী, হজকে অস্বীকার করল, সে আল্লাহকে অস্বীকার করল।’ প্রত্যেক মুসলমান নর বা নারীর জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ হলেও সবার ওপর হজ ফরজ নয়। হজ পালন করার কিছু পূর্বশর্ত আছে। আসুন, এগুলো জেনে নিই।

হজের পূর্বশর্ত

 যিনি হজ করবেন তাঁকে অবশ্যই:

· প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে;

· মানসিক ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে;

· হজে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে এবং সেই অর্থ অবশ্যই হালালভাবে উপার্জিত হতে হবে। হজের জন্য ধার করা যাবে না;

· শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে; এবং

· (নারীদের সঙ্গে) মাহরাম থাকতে হবে।

বর্তমানে সৌদি সরকার মাহরামের নিয়ম সহজ করে দিয়েছে। এটা নিয়ে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সহিহ হাদিস ও কোরআনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, মাহরাম ছাড়া হজে যাওয়া যাবে না।

সহিহ বুখারি হাদিসের দ্বিতীয় খণ্ডে হাদিস নম্বর ১০৮৮, ১০৮৭ ও ১০৮৬-এ বলা হয়েছে—আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একজন নারী, যিনি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করেন, তাঁর জন্য একজন মাহরাম ব্যতীত এক দিন এবং এক রাতের সফর অনুমোদনযোগ্য নয়।’

অন্য আরও সহিহ হাদিসে ব্যাপারটি স্পষ্ট যে মাহরাম ব্যতীত হজ পালন বাধ্যতামূলক নয়। তাহলে এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, মাহরাম আসলে কে? এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে সুরা আন-নিসার ২২ ও ২৩তম আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সারসংক্ষেপ হলো, একজন নারীর স্বামী ব্যতীত তাঁর মাহরাম হবেন এমন ব্যক্তি, যাঁর সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্কের কারণে বিবাহ সম্পাদন সম্ভব নয় যেমন নারীর ভাই, বাবা ও ছেলে। যাঁর সঙ্গে এখনো বিবাহ সম্পাদন হয়নি অথবা মুখে বানানো ভাই, বান্ধবীর স্বামী কখনো মাহরাম হতে পারেন না। আবার একজন পুরুষ কখনো একাধিক নারীর মাহরাম হতে পারবেন না। যে নারীর মাহরাম নেই, কিন্তু তাঁর হজ সম্পাদনের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে, তিনি অন্য কাউকে তাঁর হয়ে হজ পালনের জন্য পাঠাতে পারেন।

তাই নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি রাসুল (সা.)-এর কথা শুনবেন, নাকি তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধে যাবেন। আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং রাসুল (সা.)-এর নির্দেশিত পথে ধর্ম পালন করুন।

আল্লাহর সন্তুষ্টি মূল উদ্দেশ্য

হজে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনি হজে যাচ্ছেন আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে। তাই আপনার ব্যবহার যেন আশপাশের লোকদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়।

দেশে আপনি যতো বড় প্রভাবশালী, পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি হন না কেন মনে রাখবেন, সেখানে সবাই আল্লাহর মেহমান।  ছোট-বড় ভেদাভেদ বা আহংকার আপনার হজ নষ্টের কারণ হতে পারে। আমিত্ব বিসর্জন দিয়েই আপনাকে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে। কাউকে কষ্ট দেবেন না, বরং কীভাবে কারও উপকার করা যায়, সেই চেষ্টা করুন। আপনার মুখে যেন সব সময় ভালো কথা থাকে।

ভালো বা মন্দ যেকোনো কিছুতে বলুন—‘আলহামদুলিল্লাহ’; কোনো কিছুর শুরুতে বলুন ‘বিসমিল্লাহ’; কোনো কিছু চাইলে ‘ইনশা আল্লাহ’; কোনো কিছুর প্রশংসার ক্ষেত্রে ‘সুবহানাল্লাহ’ বা ‘মাশা আল্লাহ’;

কাউকে ধন্যবাদ দিতে ‘জাজাকাল্লাহু খাইরান’; হাঁচি দিলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’; আর তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’;

কোনো গুনাহ থেকে দূরে থাকতে ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ ইত্যাদি।

ভ্রমণের শুরু থেকেই নিজেকে আল্লাহর জিকিরে মগ্ন রাখুন। তসবিহ পড়ুন, কোরআন তিলাওয়াত করুন, আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চান, আল্লাহ খুশি হন—এমন কাজ করুন।

ধৈর্য:

হজের একটা বড় পরীক্ষা হলো ধৈর্যধারণ; রেগে গেলে চলবে না। মনে রাখবেন, হজের সময়, আগে ও পরে এমন অনেক কিছু আপনাকে দেখতে হবে, যা আপনার ধৈর্য পরীক্ষা করবে। যে এজেন্সি আপনাকে হজে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের কথার সঙ্গে হয়তো কাজের মিল খুঁজে না–ও পেতে পারেন।

অনেক কিছু তারা আপনাকে বলেছিল, তা হয়তো আপনি পাচ্ছেন না বা পাবেন না অথবা বিমান ভ্রমণে বা ইমিগ্রেশনে অথবা জেদ্দা এয়ারপোর্টের বাইরে আপনাকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারও সঙ্গে এ সময় ঝগড়ায় লিপ্ত হবেন না ও চেঁচামেচি করবেন না। মনে করবেন, আল্লাহ আপনার পরীক্ষা নিচ্ছেন এবং এটা তাঁরই ইচ্ছা। এমন সময় বেশি বেশি জিকির করুন ও পজিটিভ চিন্তায় থাকুন।

কী কী দোয়া মুখস্থ করবেন

অনেক হজ গাইডে আপনারা হজের জন্য বিভিন্ন দীর্ঘ দোয়া দেখবেন—এগুলো দেখে ঘাবড়াবেন না; ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আসলে ওমরাহ ও হজ খুবই সহজ। আমাদের শুধু সেটাই অনুসরণ করতে হবে, যা আমাদের রাসুল (সা.) দেখিয়ে দিয়ে গেছেন; তা হলো সুন্নাহ। কে, কী করল বা পড়ল এটা মুখ্য নয়—সহিহ হাদিস অনুসরণ করা এ জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এবার আসা যাক দোয়াগুলো প্রসঙ্গে। কাবা শরিফের চারদিকে ঘোরাকে বলা হয় তাওয়াফ। আর এই তাওয়াফ শেষ করতে হয় কাবাঘরের চারদিকে সাতটি চক্করের মাধ্যমে। সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে ছোটাছুটি করাকে বলা হয় সাঈ।

আপনাকে যা মুখস্থ করতে হবে, তার একটি হলো তালবিয়া ও অন্যটি তাকবির। তবে এটি শুধু মুখস্থ করলে চলবে না—এগুলোর অর্থও আপনাকে জানতে হবে। তাহলেই আপনার ভেতরে এর অনুভূতি আসবে। এই তালবিয়া ও তাকবির কী, সেটি আমরা জেনে নেব।

জাগতিক প্রস্তুতি

হজে আপনাকে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সৌদি আরব থাকতে হবে। ভিনদেশে এই সফরের আগে আপনাকে কিছু জাগতিক প্রস্তুতি নিতে হবে। ভাষার ভিন্নতা, নতুন দেশ, নতুন পরিস্থিতির কারণে কিছু হজযাত্রী সমস্যায় পড়ে থাকেন। কয়েকবার হজ পালন করেছেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কিছুটা ধারণা থাকলে, সচেতন হলে অনেক সমস্যা দূর করা যায়। পাঠকের সুবিধার্থে তাঁদের কিছু পরামর্শ—

১. সব ধরনের খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখা: টাকা কম-বেশির ভিত্তিতে নয়, প্যাকেজের সুবিধাদি দেখে, শুনে, বুঝে চুক্তি করবেন। উড়োজাহজাভাড়া, বাসাভাড়া, হজের সময় মিনায় তাঁবুতে বা আজিজিয়ায় থাকা কিংবা না-থাকা ইত্যাদি আগে থেকে জেনে নিতে হবে।

২. হজ প্যাকেজ: হজ প্যাকেজ কত দিন, সৌদি আরবে অবস্থানের মেয়াদ কত দিন, কোথায় কত দিন অবস্থান এবং তা কীভাবে, বিস্তারিত জানতে হবে। গত কয়েক বছর কত নম্বর মোয়াল্লেমের অধীন ওই এজেন্সি হজ পালন করছে, তা জানতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশের জন্য ১ থেকে ১১৫টি মোয়াল্লেম রয়েছে। মোয়াল্লেম ক্লাস্টারের দাম অনুযায়ী জামারা (শয়তানকে পাথর মারার স্থান) থেকে মিনার তাঁবুর দূরত্ব নির্ভর করে। মোয়াল্লেম অতিরিক্ত সেবা খরচ দিয়ে কী কী সেবা পাবেন, তা লিখিত নিন। এটা নিয়ে মিনায় বির্তক হয়।

৩. মক্কা-মদিনায় বাসার অবস্থান: মক্কায় বাসার ধরন ও তা কাবা শরিফ থেকে কত দূরে, বাসায় লিফট আছে কি না, বাসার প্রতি কক্ষে কতজন এবং বাথরুম কতজনের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে, জেনে নেবেন। একই কথা মদিনার বাসার জন্য প্রযোজ্য।

৪. খাবার: সৌদি আরবে পৌঁছে তিন বেলা খাবার দেওয়া হবে কি না বা বিকল্প ব্যবস্থা কী, তা জানতে হবে।

৫. কোরবানি: প্রতারণা এড়াতে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক বা আইডিবির কুপন কিনে দেওয়া ভালো। এর বাইরে নিজে অথবা এজেন্সির লোক ছাগল কিনে কোরবানি দেবেন অথবা কোরবানি সম্পর্কে হাজি কীভাবে নিশ্চিত হবেন, তা-ও আগে থেকে জেনে নিতে হবে।

৬. মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা: হজের সফরে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। চাইলে যখন-তখন যানবাহন পাওয়া যায় না। এটাও মাথায় রাখা। ওমরায় তাওয়াফ, সাঈ, মিনা, জামারায় পাথর মারা, মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজের তাওয়াফ, সাঈ করতে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। এসবের জন্য মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা জরুরি।

৭. ফিতরা: ফিতরা বা স্থানান্তর (অর্থাৎ মক্কায় বাসা কাবা শরিফের কাছে-দূরে একাধিকবার বদল করাকে ফিতরা বলে) আছে কি না। হজের আগে না পরে ফিতরা হবে, তা জানতে হবে।

৮. হজের দিনগুলো: মিনা, আরাফায় খাবার, যাতায়াত, মক্কায় তাওয়াফ, সাঈ করতে যাওয়ার বিষয়ে কী ব্যবস্থা এবং মোয়াল্লেম কী কী সুবিধা দেবেন, তা-ও বিস্তারিত জেনে নেবেন। আপনার সঙ্গী অসুস্থ বা দুর্বল হলে বিকল্প ব্যবস্থাও জেনে নিতে হবে।

ঘোষিত হজ প্যাকেজের চেয়ে কম টাকায় হজে গেলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোনোভাবেই মধ্যস্বত্বভোগী, দালাল বা তথাকথিত মোয়াল্লেমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন না। কোন কোন এজেন্সির বিরুদ্ধে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ রয়েছে, তা যাচাই করুন।

কয়েকটি পরামর্শ

সৌদি আরবের টিভি চ্যানেলে ২৪ ঘণ্টা মসজিদে নববি ও কাবা শরিফে তাওয়াফ সম্প্রচার করে, সম্ভব হলে ওই সব চ্যানেল দেখলে আগে থেকে ওমরাহ, তাওয়াফ, মসজিদের ঐতিহাসিক স্থানগুলো সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।

এছাড়া সেখানে ওয়াক্তের শুরুতে নামাজ আদায় হয়। সাধারণত ফজর, যোহর, আছর ও এশার নামাজ আমাদের দেশ থেকে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা আগে আদায় করা হয়। নামাজের ওয়াক্ত জানতে বিভিন্ন অ্যাপ পাওয়া যায়, সেটি ব্যবহার করুন। নামাজের সময় জানা না থাকলে জামাতে নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হবেন।

মক্কা ও মদিনায় তাহাজ্জুদের জন্য পৃথক আজান দেওয়া হয়। শেষ রাতে দুটি আজান দেওয়া হবে। এতে বিভ্রান্ত হবেন না।

ছাপানো অথবা ইন্টারনেটে মক্কা, মদিনা, মিনা, আরাফাতের মানচিত্র পাওয়া যায়। সম্ভব হলে মানচিত্র দেখুন, তাহলে ওখানকার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন।

হজসংক্রান্ত নিয়মকানুন জানুন। প্রয়োজনে যাঁরা হজে গেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করুন।

হজের প্রকার  

তিন পদ্ধতিতে হজ পালন করা যায়।

হজে কিরান:

একটিমাত্র নিয়তে বা ইহরামে ওমরাহ ও হজ করা হয়। হজ শেষে পশু হাদি (কোরবানি) দিতে হয়।

হজে তামাত্তু:

এ প্রকারের হজ হয় দুটি নিয়তে বা ইহরামে। প্রথমে ওমরাহর নিয়ত করে ওমরাহ পালন করতে হয়। তারপর ইহরাম থেকে বের হয়ে পরবর্তী সময়ে আবার হজের নিয়ত বা ইহরামে প্রবেশ করে হজ সম্পন্ন করতে হয়। অর্থাৎ ওমরাহ ও হজের মধ্যে একটা সময়ের ব্যবধান থাকে। হজ শেষে পশু হাদি দিতে হয়।

হজে ইফরাদ:

এ প্রকারের হজে শুধুই হজ পালন করা হয়, ওমরাহ করা হয় না।

সাধারণত বাংলাদেশীরা যে হজ করেন

রাসুল (সা.) তাঁর জীবনে চারটি ওমরাহ আর একটিমাত্র হজ পালন করেছেন। সেই হজ ছিল কিরান পদ্ধতিতে। তবে তাঁর সাহাবিদের মধ্যে অনেকেই তাঁর সঙ্গে তামাত্তু পদ্ধতিতে হজ পালন করেছিলেন, যা রাসুল (সা.)–এর নির্দেশে হয়েছিল।

বেশির ভাগ মুসলমান ‘হজে তামাত্তু’ পদ্ধতিতে হজ পালন করে থাকেন। বলা হয়ে থাকে, সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতির হজ হলো হজে তামাত্তু। কারণ, রাসুল (সা.) তাঁর অনুসারীদের এ পদ্ধতিতে হজ পালন করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তিনি নিজে যেহেতু তাঁর বিদায়ী হজে কোরবানির পশু এনেছিলেন, তাই তিনি হজে কিরান পালন করেছিলেন; আর সাহাবিদের মধ্যে যাঁরা কোরবানির পশু আনেননি, তাঁদের তিনি প্রথমে ওমরাহ করার নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী সময়ে হজ পালন করে পশু কোরবানির নির্দেশ দেন। অর্থাৎ হজে তামাত্তু পালনের নির্দেশ দেন।

আমাদের আলোচনা ও বিশ্লেষণ হজে তামাত্তু নিয়ে। হজে তামাত্তুর ক্ষেত্রে আপনি হলেন ‘মুতামাত্তি’। একজন মুতামাত্তিকে মিকাতে প্রবেশের আগেই ইহরাম ধারণ করতে হবে।

ইহরাম ধারণ, তাওয়াফসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আগামী পর্বগুলোতে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

(বিভিন্ন আলেম-ওলামাদের হজ গাইড থেকে সংকলিত )

 

খুলনা গেজেট/হিমালয়




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!