এ বছর সরাসরি হচ্ছে না এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এসএসসি-জেএসসির গড় করে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল দেওয়া হবে। এইচএসসির এ ফলাফল ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলেও জানান দীপু মনি।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে না। এসএসসি-জিএসসি পরীক্ষার ফল গড় করে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে আমরা ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তারা প্রত্যেকে দুটি করে পাবলিক পরীক্ষা অতিক্রম করে এসেছে- জেএসসি ও এসএসসি। সেই দুটি পরীক্ষার ফলাফলের গড় করে তাদের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যাতে শুরু হতে পারে এ জন্যই ডিসেম্বরে ফলাফল দেয়া হবে। জেএসসির কত পারসেন্ট, এসএসসির কত পারসেন্ট সেটা বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করবে। পরিস্থিতির ওপর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নির্ভর করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তায় সার্বিক বিবেচনায় ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে। যেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তা বিবেচনা করছি। এ পরীক্ষার জন্য ৩০ থেকে ৩২ দিন সময় দরকার হয়। এক বেঞ্চে একজন ছাত্রী সম্ভব নয়। এখন কেন্দ্র দ্বিগুণ করার জনবল নেই।
করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করতে হয়েছে।
এদিকে, গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত আগেই বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ১৭ই মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমএম