২০২৪-২৫ সালের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করছে সরকার। নতুন শিক্ষাক্রম পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্য মানুষ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি।
সোমবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় দিবসসমূহে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা রূপান্তর ঘটানোর জন্য আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নতুনভাবে করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
শুধুমাত্র রেজাল্ট মেধার পরিচয় নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মেধার বিকাশে শিশুদের সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। যার যে বিষয়ে আগ্রহ, তা প্রস্ফুটিত করার জন্য কাজ করতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সৃজনশীল কাজে ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা যেভাবে জড়িত ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা সেভাবে জড়িত নয়। শহরের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বাইরে কিছু করতে দেওয়া হয় না। বলা যায়, শহরের শিক্ষক-অভিভাবকেরা শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন করছেন। ভালো ফল করার চাপ দিয়ে তাদের জীবন বিপন্ন করে দেওয়া হচ্ছে।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই ১৬ বছর বয়সের আগে কোনো শিক্ষার্থীকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। অথচ আমাদের দেশে ১০ বছর বয়স হলেই একটি ছেলেকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই শিক্ষার্থীর যখন মেধা অর্জনের সময়, শিক্ষা গ্রহণের সময় তখন তাকে মেধাবী শিক্ষার্থীর তকমা দিয়ে নির্যাতনের মুখে ফেলে দেওয়া হয়। ফলাফল নির্ভরতা থেকে বের না হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ আমরা ধরতে পারব না।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম