বাগেরহাটে ব্যক্তি মালিকাধীন দোকান থেকে খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২২ মে) সকালে বারুইপাড়া বাজারে স্থানীয় তিন শতাধিক ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী ঘন্টাব্যাপি এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন বক্তব্য দেন, বারুইপাড়া বাজার মালিক সমিতির সভাপতি মুরশিদ সরদার, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল, ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক পলাশ শেখ, বরুণ শেখ, হোসেন শেখ, মোঃ মালেক প্রমুখ।
ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব মালিকানাধীন ও ক্রয়কৃত জমিতে দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসা ও ভাড়া দিয়ে আসছি। নিয়মিত জমির কর-খাজনা প্রদান করছি। কিন্তু সম্প্রতি চিত্রা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম ও ওই বাজারের ইজারাদার মোঃ লিটন শেখ ব্যবসায়ীদের কাছে খাজনা দাবি করেন। কারও কারও কাছ থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত খাজনাও নিয়েছেন। খাজনা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অনেক ব্যবসায়ীকে বাজার থেকে উচ্ছেদের হুমকিও দিয়েছেন তারা। ব্যক্তি মালিকানা জমিতে থাকা দোকান থেকে খাজনা নেওয়া বন্ধ সেই সাথে ইজারা গ্রহিতা লিটন শেখ ও তহশীলদার মোঃ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
বারুইপাড়া বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল বলেন, এটা এক ধরনের চাঁদাবাজী। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিকার চাই। অনতি বিলম্বে খাজনা আদায় ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
বারুইপাড়া বাজার মালিক সমিতির সভাপতি মুরশিদ সরদার বলেন, ব্যক্তি মালিকানা জমি থেকে খাজনা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। যারা খাজনা নিয়েছে এবং নিয়মিত খাজনা নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে তাদেরকে শাস্তির আাওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধন শেষে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অবৈধ খাজনা আদায় বন্ধের দাবিতে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
ইজারা গ্রহিতা লিটন শেখ বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী খাজনা আদায় নিয়ে ব্যবসায়ীর একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আসছিলেন। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, হাট-বাজারের পেরিফেরিভুক্ত জমির বাইরে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে থাকা ঘর বা দোকান থেকে খাজনা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি কোন ইজারা গ্রহিতা এই ধরণের কাজ করে থাকেন তাহলে তার বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ এসজেড