পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের করতোয়া নদীতে পাথর তুলতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে পলাশ হোসেন (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। রবিবার (২১ মে) রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত পলাশ হোসেন ভজনপুর ইউনিয়নের বগুলাহাটি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। এদিকে ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শনিবার দুপুরে ভজনপুরের বগুলাহাটি এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে পাথর উত্তোলন করছিলেন পলাশ। এ সময় ভারতের গ্রিনগছ ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টহলরত কয়েকজন সদস্য নদীর পারের ভারতীয় চা-বাগান থেকে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে একটি গুলি পেটের বাঁ পাশে লাগলে গুরুতর আহত হন পলাশ। পরে তাঁকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান বলেন, আহত পাথর শ্রমিকের পেটের বাঁ পাশে একটি ক্ষত পাওয়া গেছে। ভুঁড়ির কিছু অংশ সেই ক্ষত দিয়ে বের হয়ে এসেছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পলাশের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মসলিম উদ্দিন।
পঞ্চগড়ে ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে, যার এক অংশ বাংলাদেশে, অন্য অংশ ভারতে। ঘটনার পরপরই আমরা বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি। বৈঠকে প্রতিবাদ জানানো হবে।’
খুলনা গেজেট/কেডি