খুলনার ডুমুরিয়ার আটলিয়া ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দকাঠি গ্রাম থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময়ে দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। সোমবার গভীর রাতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, সোমবার গভীর রাতে পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে থানার আটলিয়া ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দকাঠি গ্রামের জনৈক মিন্টু শেখের বাড়ির আশেপাশে একটি পিকআপ ভ্যানসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ১০/১২ জন ব্যক্তি অবস্থান করছে। এমন সংবাদে তিনি থানার এস,আই বিশ্বজিত পালের নেতৃত্বে পরিচালিত টহল পুলিশ দলকে বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী টহল পুলিশ দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে দলের ৭ জন সদস্য যথাক্রমে- জয়পুর হাট জেলার আক্কেলপুর থানা এলাকার মোঃ ইদ্রিস আলী (২১) টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানা এলাকার মোঃ খোকন মিয়া (২৮)ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানা এলাকার মোঃ আলামিন খলিফা (৪০) টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানা এলাকার মোঃ মামুন মিয়া/ লালচান (৪৫),বটিয়াঘাটা থানার ভান্ডার কোট এলাকার মোঃ ইউসুফ শেখ (২৬), পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানা এলাকার মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার (৩৫) এবং কেএমপি’র লবনচরা থানা এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলাম নয়ন (৩২) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও দলের আরো ৪/৫ জন সদস্য অস্ত্র-স্বস্ত্র সহ পালিয়ে যায়।
এ সময় ডাকাত দলের সাথে থাকা পিকআপ ভ্যান তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ধারালাো চাপাটি,লোহার রড,স্লাই রেঞ্জসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহারের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করে পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ডাকাত দল তাদের উদ্দেশ্যের কথা স্বীকার করে।
তিনি বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ডাকাত সদস্যদের মধ্যে কয়েক জনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। ওই রাতে তারা মিন্টু শেখের বাড়িতে ডাকাতি করার প্রস্তুুতির কথা স্বীকার করেছে।
এই ঘটনায় থানার এসআই বিশ্বজিত পাল বাদী হয়ে ডাতাতির প্রস্তুতি মামলা করেছেন। পলাতক ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার সহ তাদের দখলে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড