জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করলেন ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার। রোববার (০৭ মে) তিনি খুলনা সদর থানায় এ ডায়েরী করেন।
এদিকে মাহবুব কায়সারের বাড়িতে হামলার ঘটনা বিবৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের কেসিসি নির্বাচনে ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈষান্বিত হয়ে শনিবার রাতে ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা লোহার রড ও লাঠি নিয়ে তার বাসভবনের গেটে এসে হামলা করে। একই সময়ে তারা তাকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করতে থাকে। এমনকি তারা নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য বলতে থাকে। নির্বাচন থেকে না সরে আসলে পরিবারের সকলকে জীবনে শেষ করে ফেলবে। সন্ত্রাসীদের এমন হুমকিতে তার পরিবার আতঙ্কগ্রস্থ।
এ ব্যাপারে জানতে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাবেক কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু তদন্ত করে দেখা গেছে এমন কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি। তবে এ ব্যাপারে থানায় কোন ডিডি বা মামলা হয়নি।
অপরদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব কাওসারের বাড়ীতে দুর্বৃত্তদের হামলার তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। এই নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে ষড়যন্ত্রকারীরা সাবেক কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। নেতৃবৃন্দ প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেয়া হবে না। সেজন্যে সাবেক কাউন্সিলরের বাসভবনে যে বা যারাই হামলা করুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দ হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স-এর সভাপতি কাজি আমিনুল হক, সদস্য সচিব ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবিদ হোসেন, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বন্দ, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিছুর রহমান।
খুলনা গেজেট/কেডি/এসজেড