রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৯ জেলা ও ২ বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এ সপ্তাহে গরমের তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আজ রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ এবং ঢাকা, মাদারীপুর, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালী জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আরও অন্তত ৪ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এই সময় তাপমাত্রা বেড়ে তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ, অর্থাৎ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
‘দেশের অন্যত্র মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে,’ যোগ করেন তিনি।
পূর্বাভাস বলছে, আজ দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি অথবা ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, ‘এখনো লঘুচাপ সৃষ্টি হয়নি। তবে সম্ভাবনা আছে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশে মে মাসে ২৭৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ধরা হয়।
প্রথম সপ্তাহে গত ৪ মে আবহাওয়া অধিদপ্তর ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। ওই দিন নরসিংদীতে ৫০, টাঙ্গাইলে ৩৭, নিকলীতে ২৭, সিলেটে ২১, রাজশাহীতে ৪, ঢাকা-খুলনা ও রংপুরে ১ মিলিমিটার এবং বরিশালে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মাসের প্রথম দিনে কেবল গোপালগঞ্জে ৭ ও খুলনায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও বরিশালেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
৩ মে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় চাঁদপুরে ৩৮ মিলিমিটার। এছাড়া বরিশালে ২২, নিকলীতে ৮, ঢাকায় ৭, খুলনায় ৬ ও রংপুর ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। ৫ মে নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে সর্বোচ্চ ৫৩ মিলিমিটার এবং সিলেট ও বরিশালে সামান্য বৃষ্টি হয়।
শনিবার সিলেটে ৩৯ ও ঢাকায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
খুলনা গেজেট/ এসজেড