খুলনা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এমাদুল বশির।
পরে আইনজীবী এমাদুল বশির বলেন, খুলনা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নিয়োগ নিয়ে দুদক এর আগে তদন্ত করেছিল। কিন্তু দুদক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে বলেছে তারা কোনো কিছু পাননি। এ কারণে আদালত রিট খারিজ করে দিয়েছেন।
এর আগে, গত ২১ মার্চ খুলনা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে তাকে বার বার ওয়াসার এমডি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বশির এ রিট দায়ের করেন।
স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বিভিন্ন পত্রিকায় খুলনা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহর দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহর নিজ নামে যতো না অর্থ সম্পদ তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি তিনি গচ্ছিত করেছেন স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ নিকট আত্মীয়দের নামে। এসব অর্থ-সম্পদের খোঁজ শুরু করেছে দুদক।
আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলা পরিষদের গেস্টহাউসের একটি কক্ষ প্রায় ১০ বছর ধরে দখল করে আছেন খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ। দুই শয্যার কক্ষটির ভাড়া মাসে ৬ হাজার টাকা। তিনি দেন ৩ হাজার টাকা। অথচ ওয়াসায় নিয়োগের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৪১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া উত্তোলন করেন তিনি।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ। এরপর তিনি পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী প্রতি মাসে ৪১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়াসহ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সম্মানী পান ওয়াসার এমডি। এর মধ্যে আয়কর ও অন্যান্য সরকারি খরচ বাদ দিয়ে তিনি ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে জেলা পরিষদের গেস্টহাউস রূপসার দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন প্রকৌশলী আবদুল্লাহ। ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ২ নম্বর সাধারণ কক্ষে চলে আসেন। সেই থেকে এখনো কক্ষটি ব্যবহার করছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম