খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ও থানা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও খুলনা আইজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. মোল্লা মাসুম রশীদসহ ৪জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৪ মে) তাদেরকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। বুধবার রাত সাড়ে ৯ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে খুলনা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত অপর তিনজন হলেন ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল, ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মতিয়ার রহমান খান বুলেট, ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সওগাতুল ইসলাম সগীর।
এদিকে কোন ধরণের মামলা ছাড়া অতিউৎসাহী পুলিশ কর্তৃক বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বিএনপি
নেতাদের গ্রেপ্তার করে চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই হাসিনা সরকারকে বিদায় করা হবে। তিন তিন বারের জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে এ সরকার প্রমাণ করেছে তারা পুলিশ প্রশাসনের বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী করতে চায়।
বিবৃতিদাতারা বিএনপি নেতাদের হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ।
অনুরুপ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এড, গাজী আব্দুল বারী, এড. আব্দুল মালেক, এড. আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, এড. মাসুদ হোসেন রনি, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, এড. এস আর ফারুক, এড. নুরুল হাসান রুবা, এড. শরিফুল জোয়ার্দ্দার, এড. তৌহিদুর রহমান তুষার,এড. মোল্লা মশিউর রহমান নান্নু, এড, এ কে এম শহিদুল ইসলাম, এড.
মোহাম্মাদ আলী বাবু, এড. কাজী খালিদ হাসান জনি, এড. এহতেশামুল হক জুয়েল, এড. আবু হুরায়রা সোহেল, এড, সাইফুল রহমান সুমন, এড. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।- খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/কেডি