চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় একসাথে তিন স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ১০ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই স্কুলছাত্রীদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে কৌশলে অপহরণ করে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল। তারা নারী পাচার চক্রের সদস্য।
বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার ঝাঁঝরি বেগমপুর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর মাঝেরপাড়ার আব্দুল মুমিনের ছেলে মো. শিহাব (১৮), আব্দুস সালামের ছেল মো. নাঈম (১৯), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাঝরি বেগমপুরের ভাসান আলীর ছেলে ইয়াসিন হোসেন (১৮) ও মো. কালাম হোসেনের ছেলে মো. লিখন হোসেন (১৬)। অপহরণ হওয়া তিনজন উপজেলার কাশিপুর গ্রামের সপ্তম ও ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী।
পুলিশ জানায়, জীবননগর উপজেলা কাশিপুর গ্রামের তিনজন স্কুল পড়ুয়া মেয়ে স্কুলের উদ্দেশ্য বুধবার সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল ছুটির সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও তারা বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় তিন জন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর একসাথে নিখোঁজ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়। পরবর্তীতে তাদের অভিভাবক থানায় লিখিতভাবে জানালে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গার ঝাঁঝরি বেগমপুর গ্রামের মোহন মিয়ার বসতবাড়ি হতে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, ফুসলিয়ে কৌশলে অপরহণ করে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এদের মধ্যে সাকিব চরিত্রহীন প্রকৃতির ছেলে এবং সে ইতিপূর্বে একাধিক বিয়ে করেছে বলে জানা গেছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ওই তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তারা প্রতারণা করছিল। তারা তিন শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পাচার করা পরিকল্পনা করেছিল।এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেন জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ এসজেড